রাস্তায় ধরে ছোট বোনের স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটে দিলেন ভাইয়েরা

রাস্তায় ধরে ছোট বোনের স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটে দিলেন ভাইয়েরা
প্রতিকী ছবি

চট্টগ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে মো. সুমন নামে এক ব্যক্তির যৌনাঙ্গ কেটে নিয়েছেন তার স্ত্রীর সৎ ভাইরা। এ সময় তাকে কুপিয়েও আহত করেন তারা। রোববার (১১ জুন) রাতে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কালাবাদশা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মো. সুমন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

ভুক্তভোগী সুমনের ভাই আতাউল গনি লিটন জানান, আমার ভাই খাগড়াছড়িতে চাকরি করেন। মা অসুস্থ হওয়ায় গত রোববার দেখতে বাড়িতে আসেন। বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজার যাওয়ার সময় রাস্তায় পেয়ে তার স্ত্রীর সৎ ভাই মোহছেন ও কালু তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন ও পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন। পরে আমরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ এসে সুমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।  

স্থানীয়রা জানায়, আহত সুমন ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন প্রতিবেশী মোহছেন ও মোমেন শাহ কালুর সৎ বোনকে। সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে ঝামেলা ছিল তাদের সৎ বোনের সঙ্গে। এমনকি বাবা মারা যাওয়ার পর সৎ মা ও বোনকে বাড়ি থেকে বের করে দেন মোহছেন ও কালু।

এছাড়াও কয়েক বছর আগের মোহসেন ও কালুর এক ভাই হত্যার শিকার হয় দুর্বৃত্তদের হাতে। এ নিয়ে মোহসেন-কালুরা সন্দেহ করতেন সুমনকে। ভাইকে হত্যায় নিয়ে করা মামলায় সুমনকে জেলেও যেতে হয়। গত আট মাস আগে জামিনে বের হওয়ার পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে খাগড়াছড়িতে থাকেন সুমন। রোববার মাকে দেখতে আসলে মোহসেন ও কালুসহ কয়েকজন মিলিয়ে কুপিয়ে জখম করেন তাকে।  

হাটহাজারী থানার ওসি রুহুল আমিন জানান, মো. সুমন নামে একজনকে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তার পুরুষাঙ্গ কেটে নেন তারা। ৯৯৯-এ ফোন পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।  

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে ওইদিন রাতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। এতে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

এদিকে, চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুমনের হাত-কাঁধসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক কোপের দাগ রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ৯ ব্যাগ রক্ত প্রয়োজন হয়েছে। তার পুরুষাঙ্গেও ক্ষত রয়েছে। আঘাত খুব গুরুতর। পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলেও এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।

-এইচপি