এক সঙ্গে দাফন করা হলো মা-মেয়ের লাশ

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মেয়ে সাদিয়া বেগম (১২) মারা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মা সালমা বেগমের (৪০) মৃত্যু হয়।  

মৃত দু’জন দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের নেহালগঞ্জ গ্রামের দিনমজুর সিরাজুলের স্ত্রী সালমা এবং তাদের মেয়ে সাদিয়া। বুধবার মা-মেয়েকে একসঙ্গেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাজুড়ে।

দিনমজুর সিরাজুল বলেন, ‘ডেঙ্গু থেকে আমার স্ত্রী ও ১২ বছরের মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না। আমি ছিলাম ঢাকায়। কয়েকদিন ধরেই আমার স্ত্রী বলছিল তার শরীর অনেক খারাপ, গায়ে জ্বর। এর মাঝে আমার মেয়েটাও অসুস্থ হয়। আমার মেয়েকে নাপা ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও সুস্থ না হলে প্রাইভেটভাবে ডাক্তার দেখানো হয়।

তারা দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে বলে। সেখানে ভর্তির পর স্বাস্থ্যের উন্নতি না হলে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমার স্ত্রী ও মেয়ে দু’জনই চিকিৎসাধীন ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে আমার স্ত্রী মারা যায় এরপর বুধবার মেয়েও মারা যায়।

তিনি আরো বলেন, ‘মঙ্গলবার স্ত্রীর মরদেহ বাড়িতে এনে ভোর ৪টা দিকে শুনি হাসপাতালে আমার মেয়েটাও মারা গেছে।’

এ বিষয়ে দশমিনা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই রোগীরা যখন আমাদের এখানে ভর্তি ছিল তখনই বেশি আক্রান্ত ছিল। গ্রামের মানুষ তো সচেতন কম ছিল। তারা স্থানীয়ভাবে জ্বরের চিকিৎসা চালিয়েছে। আমাদের কাছে যখন এসেছে তখন অবস্থা ভালো ছিল না। এজন্য আমরা বরিশালে রেফার করেছি। আমরা শুনেছি তারা দু’জনেই মারা গেছেন।

লালমোহননিউজ/ -এইচপি