স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটে সঙ্গে নিয়ে পালালেন প্রথম স্ত্রী

টাঙ্গাইলে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। জেলার গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলডগা গ্রামের মৃত ইদ্রিস খানের পুত্র হায়দার আলী খানের বিশেষ অঙ্গ কেটে সেটিসহ স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ইদ্রিস খানের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
হায়দার আলী খানের চাচা হাতেম আলী খান জানান, প্রতিবন্ধী হায়দার আলী খান রেলওয়ের চাকরি নিয়ে জয়দেবপুরে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি বেলুয়ার একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা ও মির্জাপুর ইউনিয়নের বড়শিলায় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। দশ বছর আগে বেলুয়া গ্রামের আ. বাসেদের মেয়ে হামিদা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয়। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও হায়দার আলী খান বড়শিলা গ্রামের কল্পনাকে আবার বিয়ে করেন। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী কল্পনা তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন। উভয় পক্ষের একটি করে ছেলে সন্তান রয়েছে।
হায়দার আলী উভয় পক্ষকে সমানভাবে ভরণ-পোষণ করতেন। শুক্রবার বিকেলে পিংনা হাট থেকে একটি গরু কিনে বাড়িতে আসলে প্রথম স্ত্রী হামিদার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় বলে জানান হায়দার ও হামিদা দম্পতির একমাত্র সন্তান হাফিজুর (৮)।
হাফিজুর জানায়, সে সকালে ঘুম থেকে উঠে পুরো ঘরে রক্ত ছিটিয়ে থাকতে দেখে ও নতুন ব্লেড পড়ে থাকতে দেখে ডাক-চিৎকার শুরু করে। এ সময় প্রতিবেশীরা হায়দারকে উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ঘটনার পর রাতেই হামিদা বাড়ি থেকে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীরা আরও জানিয়েছে, বিশেষ অঙ্গ কেটে নেয়ার পরও রাতে কোনো সাড়াশব্দ বা ডাক চিৎকার শুনতে পাননি তারা।
অন্যদিকে, রাতের খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে দেওয়ার আশঙ্কা করছেন হায়দার আলীর মা মলিদা বেগম। এ ঘটনায় এলাকাবাসী প্রথম স্ত্রী হামিদার উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।
আহত হায়দার আলীর সঙ্গে থাকা মো. খাদেম মোবাইলে বলেন, ময়মনসিংহ আনার পর চিকিৎসকরা বিশেষ অঙ্গ খুঁজে আনার পরামর্শ দিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুঁজে আনতে পারলে বিশেষ অঙ্গ পুনঃস্থাপন করা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজি বলেন, রাতভর রক্ত ক্ষরণের কারণে রোগীর অবস্থা গুরুতর। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ রেফার্ড করা হয়েছে। বিশেষ অঙ্গ সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদ জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্ত্রী হামিদা পলাতক রয়েছেন। এর মধ্যেই অভিযুক্ত হামিদার মা ও ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
লালমোহননিউজ/- জেডি-এইচপি