বোরহানউদ্দিনে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

বোরহানউদ্দিনে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
ছবি: লালমোহন নিউজ
জে.এম.মমিন, বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিনে  বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ১২ দিনের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ১২ জন পুরুষ এবং ৪ জন মহিলা ও শিশুসহ ১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি হাসপাতালে  ভর্তি হয়েছে। তবে জ্বরে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগি টেস্ট না করে,পল্লী চিকিৎসক কিংবা ফার্মেসী থেকে ঔষধ ক্রয় করে চলে যাচ্ছেন ৷   
সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পুরুষ  ও মহিলা আন্ত:বিভাগের কর্তব্যরত নার্সরা  জানান, ২৯ জুন থেকে ১০ জুলাইয়ের  মধ্যে ১২জন পুরুষ ৪জন মহিলা ও শিশু  ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তারা আরো জানান, জুন মাসের চেয়ে জুলাই মাসে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা বেশি।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কাচিয়া ইউনিয়নের ফুল কাচিয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী সামিয়া বলেন, কয়েকদিন যাবত হাল্কা-হাল্কা জ্বর ছিল। জ্বর ও শরীর ব্যাথা বেড়ে যাওয়ায় ডাক্তার দেখিয়ে রক্ত পরীক্ষা করে জানতে পারি ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। তাই হাসপাতালে ভর্তি হই।
দেউলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের জ্বরে আক্রান্ত আবু তাহের জানান,ঈদের আগে পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে বাড়িতে আসি।ঈদের পর থেকে শরীরে অল্প জ্বর।এবং জ্বর বাড়তে থাকে।শরীর চলছে না। ইবনেসিনা ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারে  পাঁচশত টাকায় পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু হয়েছে জানা যায় । তাই এখানে চিকিৎসা নিচ্ছি ৷
পল্লী চিকিৎসক মো: অলিউল্লাহ,কামাল, সৈয়দ মেডিকেল হলের রাসেল, কামাল মেডিকেল হলের আবুল কালাম, সেবা মেডিকেল হলের মানিক, দেউলা মেডিকেল হলের মনির বলেন, জ্বর নিয়ে আসা রোগিরা বলেন, শরীরে অল্প অল্প ব্যাথা আর গায়ে গায়ে জ্বর  আমাদেরকে ঔষধ দিন।তখন আমরা ডেঙ্গু টেস্টের কথা বললে,অধিকাংশ টেস্ট করতে অনিহা প্রকাশ করে। তারা অল্প ঔষধ নিয়ে চলে যায়। 
বোরহানউদ্দিন জনকল্যাণ,নিউ জনসেবা,ইবনে সিনা ও বোরহানউদ্দিন ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারের ম্যানেজারগন বলেন, প্রতিদিন গড়ে তারা ২-৩ জন রোগি সনাক্ত করেন। অন্যদিকে নিউ ইসলামিয়া ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার হেলালউদ্দিন বলেন, ৩০ জুন ১১ জন এবং ৯ জুলাই তারা ৪ জন রোগির ডেঙ্গুর উপস্তিতি সনাক্ত করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও ) ডা.মোহাম্মদ তারেক বলেন,  আক্রান্তদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৷ আবার কেউ কেউ বাড়ী চলে যাচ্ছেন ৷ ‘ডেঙ্গু রোগীদের থেকে ভাইরাসটি মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে রোগীদের ২৪ ঘণ্টা মশারির ভেতর রাখতে হবে। এটা থেকে বাঁচতে বাড়ির আঙ্গিনা ও ফুলের টব এগুলোর মধ্যে যাতে পানি জমতে না পারে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি আরো জানান, ডেঙ্গু টেস্ট হাসপাতালে করানো হয়।
লালমোহননিউজ/ -এইচপি