ধরা পড়ার পর চোরের ভাষ্য; শয়তানের ধোঁকায় চুরি করেছি

বরগুনার পাথরঘাটায় একটি মুদি দোকানের চোরাই মালামাল বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন দুই যুবক। ধরা পড়ার পর তাঁরা ‘শয়তানের ধোকায়’ এ কাজ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। পরে তাদের মাথার চুল কেটে দিয়ে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা।
সোমবার দুপুরে তাদের পাথরঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার দিবাগত রাতে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামে রুহিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জসিমের দোকানের মালামাল চুরি হয়।
আটক দুই যুবক হলেন পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের কোরালিয়া গ্রামের আরিফ হোসেন (১৮) ও সুনাম গাজী (২২)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন।
জানা যায়, রোববার রাতে রুহিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জসিমের মুদি দোকানে নগদ টাকা ও মালামাল চুরি যায়। পরদিন সোমবার সকালে ওইসব চোরাই মালামাল বিক্রির জন্য পাথরঘাটা পৌর শহরের খেয়াঘাট এলাকার জাকির হোসেনের দোকানে নিয়ে যায় দুই যুবক।
বিষয়টি জাকিরের সন্দেহ হলে তাদের আটকে রাখেন। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হয়। জসিমকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের মালামাল চিহ্নিত করেন।
এ সময় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে তাঁদের মারধর ও মাথার চুল কেটে দেয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান তাঁদের পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করেন।
পুলিশের কাছে সোপর্দ করার আগে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তারা বলেন, ‘শয়তানের ধোঁকায় চুরি করেছি।’ পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজনকে পরিষদে স্থানীয়রা নিয়ে আসে।
তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আগেরও বেশ কয়েকটি চুরির অভিযোগ রয়েছে। পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার জানান, চোরাই মুদি মালামালসহ দুই চোরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সম্প্রতি একটি চুরির ঘটনায় সুনাম গাজী জেল খেটে জামিনে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
-এইচপি