হাসান লিটন, চরফ্যাশন(ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনে বিরোধপূর্ণ জমি জবর দখল নিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ধর্ষণ মামলা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক নারীর বিরুদ্ধে।
গত জুলাই মাসের ৩০ তারিখে ওই নারী বাদী হয়ে একই পরিবারের তিনজকে আসামী করে ভোলা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল সোমবার এডভোকেট মোহাম্মদ তোয়াহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানাযায়, উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইউনুছদের সাথে প্রতিবেশী এক নারীসহ তার ভাই মনির হোসেনের পরিবারের সদস্যদের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চরফ্যাশন সহকারী জজ আদালতে ৪৮৭ নং দেওয়ানী মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। ওই মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামীরা প্রায় সময় বাদী ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে আসছিলেন। হুমকি ধামকির ঘটনায় আদালতে দায়ের করা মামলার বাদী মো, ইউনুছ বাদী হয়ে গত ২১ জুলাই শশীভূষণ থানায় ৭৭৪ নং একটি সাধরন ডায়েরী করেন।
আদালতে মামলা ও থানায় ডায়েরী করার পর ক্ষিপ্ত আসামীরা দির্ঘ ১মাস পর ধর্ষণের অভিযোগ তুলে দেওয়ানী মামলার ২ নম্বর আসামী ওই নারী বাদী হয়ে মামলার বাদী ইউনুছ পরিবারের তিনজকে আসামী করে ভোলা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা বিজ্ঞ আদালতে নারীর দায়ের করা মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করার জন্য শশীভূষণ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
দেওয়ানী মামলার বাদী বৃদ্ধ ইউনুছ অভিযোগ করেন,আমার ভোদখলীয় জমি জবর দখলে ব্যর্থ হয়ে আসামীদের হুমকি ধামকিতে মামলা তুলে না নেয়ায় আমার পরিবারের সদস্যদের ঘায়েল করতে একটি সাজানো মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই নারী। মামলায় যেদিন ঘটনার তারিখ উল্ল্যেখ করা হয়েছে ওই দিন আমার পরিবারের যে তিন সদস্যকে আসামী করা হয়ে তারা ঢাকায় ও চট্রগামে কর্মস্থলে ছিলেন। আমার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করার জন্য নাটক সাজিয়ে একটি ধর্ষন মামলাটি দায়ের করেছেন।
ধর্ষণ মামলার বাদী নারী এ বিষয়ে কোন বন্তব্য করতে রাজি হননি।
শশীভূষণ থানার ওসি মু. এনামূল হক জানান, ওই নারী দায়ের করা মামলাটি আদালত থেকে এখনও থানায় আসেনি। আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
লালমোহননিউজ/ -এইচপি