হাসান লিটন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা মধ্যে চরআইচা কো-ইড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘর সহ আসবাবপত্র উধাও ফিরে পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন পালিত হয়েছে।
ঘটনার তিনদিন পর খোলা তারিখ রোববার (২৭ আগষ্ট) সকাল দশটার সময় উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড এক কপাট সুইস গেইট সংলগ্ন এ মানববন্ধন পালন করে উক্ত কো-ইড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় অভিভাবকরাও অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাফিকুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক জুনায়েদ, শিক্ষিকা রিমা বেগম। অভিভাবক আবদুস সালাম, ও মো. কামাল সহ অন্যান্যরা।
এসময় বক্তারা বলেন, ২০০৬ সাল থেকে মধ্যে চরআইচা কো-ইড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দেশের বাহিরের আস্ট্রেলিয়ন সংস্থার অর্থের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত পাঠদান চলে আসছে। এই বিদ্যালয়ের জমি দাতা চরআইচা গ্রামের বশির উল্লাহ সভাপতি থাকার সুবাদে তার জমিতে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য কো-ইড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি আশ্রয় কেন্দ্রের ভবন নির্মাণের অনুমোদন হয়।
এরপর সাম্প্রতি সময়ে বশির উল্লাহ মিয়া কো-ইড প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ার আলটিমেটাম দেন বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত শিক্ষকদের। পরবর্তীতে কো-ইড সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে আমরা জানাই। এরই মধ্যে গত ২৫ আগষ্ট শুক্রবার ভোর বেলা বিদ্যালয়টি উধাও হয়েছে বলে স্থানীয়রা মুঠো ফোনে জানান। ঘটনার পরপরই সরেজমিনে গিয়ে দেখি বিদ্যালয়টির টিন সেটের ঘর, ২৪ টি বেঞ্চ , ৪ টি টেবিল, একটি স্টীলের আলমিরা সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র উধাও ।
আমরা কো-ইড সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে বিষয়টি অবগত করেছি। তারা আরো বলেন, বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে আমরা রাস্তায়। পাঠদানও চালাতে পারছিনা। আমরা যদি আমাদের বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র সহ বিদ্যালয়টি ফিরে না পাই পরবর্তীতে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলবো হুশিয়ারী দেন মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বক্তব্যতে স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার ভোর রাতে স্কুলের সভাপতি বশির উল্লাহ মিয়া ও তার ছেলে মো. বাকের ভাংচুর করে বিদ্যালয়টির আসবাবপত্র নিয়ে যান। এবং সেখানে সুপারির চারা রোপণ করেন। বিদ্যালয়টি ভাংচুর করা তাদের অন্যয় হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে দাবী জানান তারা।
এ বিষয়ে কো-ইড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. বশির উল্লাহ মিয়া ও তার ছেলে বাকের স্কুল ঘর ভাংচুরের কথা অস্বীকার করেন, মানববন্ধনের বিষয়ে প্রশ্ন তুললে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মো.শাখাওয়াত হোসেন বলেন, লিখত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লালমোহননিউজ/ -এইচপি