ধান কাটায় ব্যস্ত বোরহানউদ্দিনের কৃষকরা

ধান কাটায় ব্যস্ত বোরহানউদ্দিনের কৃষকরা
ছবি: লালমোহন নিউজ
জেএম.মমিন, বোরহানউদ্দিন থেকে: সারাদেশে তীব্র গরম ও বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড় মোখায় রূপ নেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভোলার বোরহানউদ্দিনের কৃষকরা ৷ তাই ফসলের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পূর্বে চলতি বোরো মৌসুমের পাকা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন এখানকার চাষিরা ৷
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এবছর ৯৯০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে ৷ প্রতি হেক্টরে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৭ টন ৷ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে ৷ ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষায় ক্ষেতের ৮০ শতাংশ ধান পাকলেই কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ইতিমধ্যে ৮০-৯০ ভাগ জমির পাঁকা ধান কাটা হয়েছে ৷ তবে কিছু কিছু জমির ধান এখনো পাকেনি ৷
সাচড়া ইউনিয়নের কৃষক শাফিজল ও ইউনুছ জানান, বোরো আবাদের জমিতে অন্য ফসল করায় কিছু জমিতে দেরিতে আবাদ করা হয়েছে ৷ সেগুলোর ধান এখনো পাকেনি ৷ ঘূর্ণিঝড় হলে এসবের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে ৷
বড় মানিকা ও পক্ষিয়া ইউনিয়নের কৃষক রফিজল, নাসিম, রিয়াজ ও আব্দুল খালেক জানান, আগামী দুই তিনদিনের মধ্যে বাকি সব পাকা ধান ঘরে তুলতে পারলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তারা আরো জানান, হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে ধান কাটায় স্বল্প খরচ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে ধান ঘড়ে তোলা যাচ্ছে ৷ 
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিসার এইচএম. শামীম লালমোহন নিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে কৃষকদের ফসলের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কয়েকদিন পূর্বেই পাকা ধান ও মৌসুমী বিভিন্ন রবি শস্য ঘরে তোলার জন্য মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে ৷ ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি ও সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত আছে ৷
-এইচপি