চরফ্যাশনে ট্রলারসহ ১২ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ

চরফ্যাশনে ট্রলারসহ ১২ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ
হাসান লিটন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি:  ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে কুকরি-মুকরির জহির খাঁর মালিকানাধীন একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১২ মাঝিমাল্লা সহ দুইদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এতে দুশ্চিন্তায় ও চরম উৎকণ্ঠায় পড়েছে জেলেদের পরিবার।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন- ট্রলার মাঝি মফিজ, জেলে শহিদুল খাঁ, জসিম খাঁ, কুট্টি খাঁ,  রাহাদ সিকদার, রাজিব হাওলাদার,  সাগর হাওলাদার,  সোহেল মোল্লা,  রুবেল গাজী, শাকিল হাওলাদার,  সায়েদ সিকদার, হাসান মৃধা। 
তাদের সকলের বাড়ি উপজেলার বিচ্ছিন্নদীপ চরকুকরি-মুকরি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড নবীনগর এলাকায়।
নিখোঁজ ট্রলার মালিক জহির খাঁ জানান, গত মঙ্গলবার ৩ অক্টোবর বিকালে চরকুকরি-মুকররি মৎস্যঘাট থেকে মফিজ মাঝি আমার মালিকানাধীন ফিশিং বোর্ডটি সহ জাল,বরফ ও বাকী জেলেদেরকে সাথে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার যান। এরপর থেকে মফিজ মাঝির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি দুইদিন ধরে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অন্য বোর্ডের মাঝি সহ সবজায়গাই খোঁজখবর নিলাম কোথায় আমার ট্রলাটি সহ ১২ মাঝিমাল্লার সন্ধ্যান মেলেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার সাগরে প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে আমার ট্রলারটি বিপদে পড়েছে। 
চরকুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন বলেন, নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের স্বজনরা আমাকে জানিয়েছে। আমি কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনীর সদস্যদেরকে যৌথভাবে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধার অভিযানের জন্য বলে দিয়েছি। 
চরকচ্ছপিয়া কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোন কন্টিজেন্ট কমান্ডার আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। নিখোঁজ জেলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে খুব দ্রুতই অনুসন্ধান শুরু করব।
লালমোহননিউজ/-জেডি