জে.এম. মমিন, বোরহানউদ্দিন থেকে: পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ভোলার বোরহানউদ্দিনে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট ৷ ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততোই জমজমাট হয়ে উঠছে স্থানীয় বাজারের পশুর হাটগুলো। তাই পশু বেচাকেনায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা ৷
উপজেলার আব্দুল জব্বার কলেজ মাঠ, বোরহানগঞ্জ বাজার, মজম হাট ও দরুন বাজার সহ বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় । স্থায়ী হাট না থাকলেও বাজার গুলোর সপ্তাহের প্রতি হাটবারের দিনে পশুর হাট বসছে ৷ কিন্তু অন্য বছর থেকে এবছর দাম বেশি হওয়ায় বেশির ভাগ ক্রেতার চাহিদা ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরু। ক্রেতারা জানান দ্রব্য মূল্যের মতো গবাদী পশুর দাম বাড়ায় কোরবানির পশু কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে গ্রামের মধ্য ও স্বল্প আয়ের মানুষদের ৷
গরু কিনতে আসা ক্রেতা ইয়াছিন, ইমরুল ও রফিজল হক জানান, গত বছর যে গরুর দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা বিক্রেতারা সেটা এবার ৮০-৯০ হাজার টাকা হাঁকছেন ৷ ছোট আকৃতির গরু ৬০ হাজারের নিচে কিনা যায় না ৷ এটা গ্রামের মানুষদের নাগালের বাহিরে চলে গেছে ৷ তিন চার হাট ঘুড়েও তারা এখনো গরু কিনতে পারেন নি ৷
গরু বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, গো-খাদ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ তাই গত বছরের তুলনায় এবছর গরুর দাম একটু বেশি ৷
এছাড়া বিক্রেতা জসিম, কামাল ও মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন জানান, এবছর গরুর দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতার স্বাধ্যের মধ্যে পছন্দের গরু ক্রয় করতে বিভিন্ন হাটে ছুটাছুটি করছেন ৷ তাই বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি গরুই বিক্রি বেশি হচ্ছে ৷
উপজেলা প্রাণী সমম্পদ কর্মকর্তা কে.এম আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলার হাট গুলোতে আমাদের ৩টি মেডিকেল টিম কাজ করছে ৷ এবছর ৭ হাজার ১২৪টি পশুর চাহিদা রয়েছে ৷ সেই তুলনায় আরো প্রায় ৫০০ কোরবানির পশু বেশি আছে ৷ তিনি আরো জানান, গো-খাদ্যের বেশি দাম, ল্যাম্প স্কিন ও এলএলজি রোগের কারনে অনেক গরু অসুস্থ থাকায় অন্য বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি ৷
-এইচপি