চাঁদপুরে জাহাজে রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড, সবার বাড়ি নড়াইলে
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে নোঙর করা মেসার্স বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের জাহাজ ‘আল বাখেরাহ’ থেকে সাতজনের মরদেহ ও একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সবাই নড়াইল জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
সোমবার বিকেলে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে মরদেহ ও আহত একজনকে উদ্ধার করেন। আহত ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পুলিশের ধারণা, জাহাজে ডাকাতিতে বাঁধা দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া, ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রীজার সজিবুল, আজিজুল, মাজেদুল ইসলাম এবং অপর একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত ব্যক্তির নাম জুয়েল। নিহত ও আহত সবাই নড়াইল জেলার বাসিন্দা।
জাহাজ মালিক দিপলু রানা জানান, কীভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা জানা যায়নি। আশা করি পুলিশ তদন্ত করে আসল ঘটনা বের করবে।
তিনি বলেন, রোববার রাতে চালকের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। সকালে যোগাযোগ করার পর কেউ সাড়া দেননি। এরপর মুগনি-৩ নামক অন্য একটি জাহাজের নাবিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ ও আহতদের দেখতে পান এবং ৯৯৯ এ কল করে পুলিশকে জানান।
মুগনি-৩ এর মাস্টার বাচ্চু মিয়া জানান, আল বাখেরাহ জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে ২২ ডিসেম্বর সকালে ছেড়ে আসে। পরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে তারা জাহাজটি দেখতে পায় এবং ৯৯৯ কল করে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তিনজনকে হাসপাতালে পাঠায়।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জাহাজে ডাকাতি করতে বাঁধা দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, আহত একজন জানিয়েছে তারা ৮ জন ছিলেন। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে সব পরিষ্কার হবে।
লালমোহননিউজ/ -এইচপি