টাকার জন্য ভাইয়ের লাশ দাফনে বাধা

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পাওনাকৃত ৭০ হাজার টাকার জন্য আপন বড় ভাইয়ের জানাজা নামাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রবাসী ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বুধবার (৩ মে) রাতে কুলিয়ারচর পৌর এলাকার সিংলা মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কুলিয়ারচর পৌর এলাকার সিংলা মহল্লার আলতাফ উদ্দিন ভূইয়ার চার ছেলের মধ্যে এমাদ মিয়া সবার বড় এবং সিঙ্গাপুর প্রবাসী আরশ মিয়া সবার ছোট। কিছুদিন আগে বড় ভাই এমাদ মিয়া বাড়ি নির্মাণের সময় ৭০ হাজার টাকা ধার নেয় ছোট ভাই আরশ মিয়া কাছ থেকে। এমাদ মিয়া ক্যান্সারের রোগী ছিলেন। বুধবার হঠাৎ তার মৃত্যু হলে, সন্ধ্যায় জানাজা পড়তে এলাকাবাসী জড়ো হয়। তখন ফোনে পাওনা টাকার কথা জানান সিঙ্গাপুর প্রবাসী আরশ মিয়া।
এ সময় মরহুম এমাদ মিয়ার মেয়ের জামাতা চেকের মাধ্যমে টাকা দিতে চাইলে, নগদ টাকা না পেলে জানাজা পড়তে দেওয়া হবে না জানানো হয়। এরপর উপস্থিত এলাকাবাসী সহায়তায় টাকা জোগাড় করে আরশ মিয়ার পরিবারের কাছে টাকা বুঝিয়ে দিয়ে জানাজা নামাজ ও মরহুমের দাফন সম্পন্ন করে এলাকাবাসী।
মরহুম এমাদ মিয়ার ছেলে সিয়াম বলেন, বাবার মৃত্যুর পর ছোট চাচা আরশ মিয়া ফোনে জানান তার পাওনা টাকা না দেওয়া পর্যন্ত জানাজা বা দাফন করতে দেওয়া হবে না। টাকা না দিতে পারলে প্রয়োজনে দুই বছর লাশ এভাবে পরে থাকবে। এভাবেই তিনি ফোনে বাবার জানাজার সময় বাধা দেন।
প্রবাসী আরশ মিয়া মুঠোফোনে বলেন, জানাজার নামাজে বাধা দেওয়ার ঘটনাটি মূলত ঘটিয়েছে বড় ভাই মোতাহার। তিনি আমার বদনাম করার জন্য এ কাজটি করেছে। আমি বর্তমানে সিঙ্গাপুর আছি। আমার এত সময় কই টাকার জন্য ঝামেলা করার? আমি শুধু দুইবার টাকা পাওনার কথা জানিয়েছি। কিন্তু এখনই টাকা দিতে হবে, না হলে জানাজা দিতে দিবো না এসব আমি কিছুই বলিনি।
তিনি আরো বলেন, বড় ভাই মোতাহারের কাছেও আমি অনেক টাকা পাই। এ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে সে ৬-৭ লাখ টাকা নষ্ট করেছে। মূলত তিনিই এ কাজটি করিয়েছে আমাকে সবার চোখে খারাপ সাজানোর জন্য।
তবে, আলতাফ ভূইয়ার দ্বিতীয় ছেলে মোতাহার তার ছোট ভাই আরশের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আরশ অনেক মানুষের সামনে ফোনে জানিয়েছে টাকা ছাড়া তার বড় ভাইয়ের জানাজা পড়তে দেওয়া হবে না। লাউড স্পিকারে এলাকাবাসী তা শুনেছে। তার সাক্ষী এলাকাবাসী।
-এইচপি