শিপু ফরাজী, চরফ্যাশন: ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করা ৩হাজার পরিবারকে জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব সহিষ্ণু বসতবাড়ি, ছাগল ও ভেড়া পালনের খামার, ঘর-বাড়ির আশেপাশে লবন সহিষ্ণু শাক-সবজির খেত ও বনায়ন করে দেবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পরিবার উন্নয়ন সংস্থার (এফডিএ) ও গ্রামীণ জন-উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস)। বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় জনগণের জন্য স্থিতিস্থাপক বসতবাড়ি ও জীবিকা সহায়তা (আরএইচএল) প্রকল্পের আওতায় ভোলার মতো উপকূলীয় এলাকার আরও সাতটি জেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে।
৫বছর ব্যাপী বাস্তবায়ন হবে এ প্রকল্প। প্রকল্পের অর্থায়ন করবে গ্রীণ ক্লাইমেট ফান্ড ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। জিজেইউএসের ভোলাস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় দুই ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা। পরিবার উন্নয়ন সংস্থার (এফডিএ) নির্বাহী পরিচালক মো কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধন করেন পিকেএসফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমাদ। মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন প্রকল্পের সহকারী প্রকল্পসমন্বয়কারী শেখ নজরুল ইসলাম।
প্রবন্ধে তিনি উল্ল্যেখ করেন, প্রকল্পটির উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে; উপকূলীয় অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল বাড়ি নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ/বসতভিটা উঁচুকরণ, কাঁকড়া হ্যাচারি স্থাপন ও কাঁকড়া চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, মাঁচা পদ্ধতিতে ছাগল/ভেড়া পালন, বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় লবণাক্ততা সহনশীল সবজি চাষ, বাড়ীর আঙ্গিনায় এবং কাঁকড়া ঘেরে ম্যানগ্রোভ বনায়ন ইত্যাদি। পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি বাংলাদেশের সাতটি উপকূলীয় জেলার জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে লক্ষিত জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার মানের ক্রমোন্নয়ন ঘটবে।
বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান, জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসান ওয়ারেসæল কবির, ভোলা জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো রফিকুল ইসলাম খাঁন, ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার, টবগি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো জসিম উদ্দিন, সাংবাদিক আদিল হোসেন তপু প্রমূখ। ভোলা জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে পিকেএসফের কাছে ভোলায় উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য কেন্দ্রীক শিল্প কলকারখানা নির্মাণের ওপর জোর দিতে আহবান করেছেন।
লালমোহননিউজ/ -এইচপি
What's Your Reaction?