ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় লালমোহনে প্রস্তুত সাইক্লোন সেন্টার-মেডিকেল টিম

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বরও বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ভোলার লালমোহনে মঙ্গলবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বইছে হালকা বাতাস। আকাশ সকাল থেকেই মেঘলা। উত্তাল রয়েছে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর পানি প্রবাহ।
হামুন মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে লালমোহন উপজেলা প্রশাসন। জরুরি প্রয়োজনের সার্বক্ষণিক বিষয়ে তদারকির জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত করা হয়েছে ১৯৮ টি সাইক্লোন সেন্টার ও ৯টি মেডিকেল টিম। মাঠে কাজ করছেন সিপিপি কর্মকর্তারা। চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়া সাইক্লোন সেন্টারে যারা আশ্রয় নিবেন তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল জানান, ভোলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আমরা ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় প্রস্তুতিমূলক সভা করেছি। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
এদিকে জানা গেছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ অদূরবর্তী দ্বীপ-চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হামুন আরো উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
লালমোহননিউজ/ -এইচপি