লালমোহনে ৬৩ হাজার ৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা
চলতি বছর ভোলার লালমোহন উপজেলায় ১২৬ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বোরো ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। পরিমাণের দিক থেকে ৬৩ হাজার ৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এ উপজেলায়। যার মধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান উৎপাদন হবে ১৮ হাজার ৬৩২ মেট্রিক টন এবং উফশি জাতের ধান উৎপাদন হবে ৪৪ হাজার ৩৭৫ মেট্রিক টন। চলতি বছর লালমোহন উপজেলার কৃষকরা ১১ হাজার ২০৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। যার পরিমাণ গত বছর ছিল ৯ হাজার ৯১৫ হেক্টর। লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় লালমোহন উপজেলার ধান চাষিরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এপ্রিল মাসের শেষ দিক থেকে এ পর্যন্ত ইতোমধ্যে উপজেলার প্রায় ৩০ শতাংশ জমির ধান কর্তন করেছেন কৃষকরা। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে লালমোহন উপজেলার সকল জমির ধান কর্তন সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী উপজেলা কৃষি অফিস।
উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের মুন্সির হাওলা এলাকার বোরো ধান চাষি রতন হাওলাদার বলেন, কৃষি অফিসের প্রণোদনার হাইব্রিড ধান পেয়ে এ বছর ১২০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। ইতোমধ্যে জমির সকল ধান কাটা হয়ে গেছে। এ বছর চাষ করা ১২০ শতাংশ জমিতে অন্তত দেড়শত মণ ধান হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরের ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। যার ফলে খরচ বাদে এ বছর ধান চাষ করে অন্তত পৌনে এক লাখ টাকা লাভ হয়েছে।
ওই ইউনিয়নের উত্তর ফুলবাগিচা এলাকার মো. আমির হোসেন মিস্ত্রি নামে আরেক কৃষক জানান, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই ধান চাষ করছি। এ বছর ৩৫০ শতাংশ জমিতে উফশি জাতের বোরো ধানের চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর ধানের ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। এরইমধ্যে জমির সমস্ত ধান কাটা হয়ে গেছে। ৩৫০ শতাংশ জমির ধান চাষের সব খরচ বাদে প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো লাভ হয়েছে।
উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী এলাকার ধান চাষি মো. জামাল হাওলাদার বলেন, চলতি বছর ২০০ শতাংশ জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। ক্ষেতের ফলনও আল্লাহর রহমেত ভালো দেখা যাচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ক্ষেত থেকে ধান কাটা শুরু করবো। ২০০ শতাংশ জমিতে ধান চাষে ৬০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আশা করছি এ জমি থেকে অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ধান বিক্রি করতে পারবো।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবু হাসনাইন জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর উপজেলার বোরো ধান চাষিরা আশানূরূপ ফলন পেয়েছেন। বাজারেও চলতি বছর ধানের দাম ভালো। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ধান চাষিরা অধিক লাভবান হবেন। এছাড়া ধান চাষিদের যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় পাশে ছিলেন। আমরাও সঠিকভাবে তদারকি করেছি। আমাদের লক্ষ্য কৃষকরা যেন চাষাবাদ করে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন।
লালমোহননিউজ/ -এইচপি