তজুমদ্দিনে পিআইওর বিরুদ্ধে মানবিক সহায়তার চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

তজুমদ্দিনে পিআইওর বিরুদ্ধে মানবিক সহায়তার চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
প্রতিকী ছবি

ভোলার তজুমদ্দিনে সরকারি-বেসরকারী এতিমখানা, লিল্লাহ বোডিং এবং সামাজিক কল্যাণে নিয়োজিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মানবিক সহায়তার সরকারি বরাদ্দে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সভাপতির নাম পরিবর্তন করে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে সিপিসি দেখিয়ে চাল উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোট বরাদ্দের অর্ধেকেরও কম চাল দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি।

জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে তজুমদ্দিন থেকে মানবিক সহায়তার জন্য ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৮ জুন ভোলা জেলা প্রশাসক ১৫টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৪৫ টন মানবিক সহায়তার চাল বরাদ্দ দেন। বরাদ্দের কাগজ হাতে পাওয়ার পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সেলিম মিয়া অজ্ঞাত লোকদের সিপিসি দেখিয়ে পুরো চাল উত্তোলন করে নেন। কিছু প্রতিষ্ঠানকে চালের বদলে দিয়েছেন নগদ টাকা।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাজী পুকুর জামে মসজিদ সংলগ্ন নূরানী মাদরাসার এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের নামে ৩টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু মসজিদের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকে না জানিয়ে শামীম নামে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে সিপিসি দেখিয়ে চাল উত্তোলন করা হয়। আর ওই প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় ১৫ হাজার টাকা। ঠিকমতো টাকা না দেওয়ায় বরাদ্দের চাল পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করেন ওই মাদরাসার সভাপতি। তখনকার ইউএনও মরিয়ম বেগম প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম মিয়াকে সঠিক কমিটির মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদানের জন্য একাধিকবার নির্দেশ দেন। তবে ইউএনওর ওই নির্দেশনা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম মিয়া মানেননি।

সাজীপুকুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির ক্যাশিয়ার মো. সালাউদ্দিন বলেন, আমাদের মসজিদে ৩টন চালের বদলে ১৫হাজার টাকা দেয় পিআইও। আমরা সেই টাকা নেইনি। এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির সভাপতি বরাদ্দে চাল চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি  লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগেরও এখনো কোনো সমাধান হয়নি।

মোল্লাপুকুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইয়াছিন মোল্লা জানান, পিআইও আমাদের মসজিদের নামে ৩টন চাল বরাদ্দের কথা জানিয়ে কাগজপত্র দিতে বলে। তাদের নিয়মানুযায়ী সকল কাগজপত্র দেওয়ার পর আমাকে ২৫ হাজার টাকা দেন। টাকা কম দেওয়ার বিষয়ে পিআইওর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পরে এটার সমজোতা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সেলিম মিয়া বলেন, কাউকে চালের বদলে নগদ টাকা দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া যারা অভিযোগ করেছেন তাদের সঙ্গে সমাধা হয়েছে।

তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ জানান, আমি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। পুরোন বরাদ্দের বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারবো না।

লালমোহননিউজ/ -এইচপি