শহিদুল-আছমার নিরব কান্না

বোরহানউদ্দিনে ঝড়ের তাণ্ডব

শহিদুল-আছমার নিরব কান্না
ছবি: লালমোহন নিউজ

জে.এম. মমিন, প্রতিনিধি, বোরহানউদ্দিন (ভোলা): ঘূর্ণিঝড় রেমালে শেষ সম্বল মাথা গোঁজার ঠাঁই একমাত্র টিনের ঘরটি হারিয়ে এখন নিঃস্ব বোরহানউদ্দিনের শহিদুল দম্পত্তি। স্ত্রী আচমা, ১ ছেলে ও ২ মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দীর্ঘ এক বছর ধরে কোমড়ের হাড় ক্ষয় রোগে অসুস্থ হয়ে ঠিক মতো হাঁটাচলা করতে পারছেন না।
তার বাড়ী উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের দরুন গ্রামে। সে ওই গ্রামের কাদের গোলদারের ছেলে।

শহিদুল জানান, এক সময়  নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এক বছর আগে হঠাৎ তাঁর হাটু ও কোমড়ে ব্যাথা দেখাদেয়। ডাক্তার দেখালে হাড়ের ক্ষয় রোগ ধরা পড়ে। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের সব জমানো টাকা খরচ করে ফেলেন। টাকার অভাবে এখন  চিকিৎসা বন্ধ। ধার দেনা করে আর এলাকাবাসীর সহযোগীতায় কোনো রকম চলছিল সংসার। মানুষের সহযোগীতায় কাঠ, বাঁশ দিয়ে তৈরি করি একটা টিনের ঘর। সেই ঘরটাও কেড়ে নেয় ঘূর্ণিঝড় রেমাল। অনাহারে অর্ধাহারে জীবন চলছে তাদের। 

তার স্ত্রী আচমা বেগম বলেন, পরিবারে উপার্যক্ষম কেউ নাই। টাকার অভাবে স্বামীর চিকিৎসা করাতে পারছি না মাথা গোঁজার ঠাইটুকুও এখন শেষ। নিজের ঘর না থাকায় প্রতিবেশির ঘরে আশ্রায় নিতে হয়েছে। অসুস্থ স্বামী আর ছোট ছোট বাচ্ছাদের নিয়ে থাকতে ঘরটি মেরামতের জন্য সহযোগীতা চান আচমা।

তেঁতুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি সিয়াম মৃধা ও জেএম মমিন জানান, শহিদুলের অবস্থা খুব করুন। নুন আনতে পান্থা ফুরায়। প্রশাসন সহ সমাজের বৃত্তবানদের তার পরিবারকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।

সাচড়া ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহ মৃধা জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ।  ঘূণিঝড় রেমালে তার ঘরটি সম্পূর্ণ পড়ে গিয়েছে। তাকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে। 

বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান-উজ্জামান বলেন, তাঁকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে সর্বাত্নক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

লালমোহননিউজ/ -এইচপি