দুর্গাপূজায় ভারতীয়দের পাতে জুটবে না ইলিশ!

ভারতের নিউজ এইট্টিনের প্রতিবেদন

দুর্গাপূজায় ভারতীয়দের পাতে জুটবে না ইলিশ!
ফাইল ছবি

বিশ্বের সুস্বাদু মাছ ইলিশ এখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতে ইলিশ মাছ রফতানি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইট্টিন বলছে, ইলিশ ছাড়া বাঙালির দুর্গাপূজা অসম্পূর্ণ তাই বাংলাদেশ সরকার ভুল সময়ে রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল।

ইলিশ গঙ্গাতেও পাওয়া যায় তবে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশের জুড়ি আর কোথাও নেই। পদ্মার ইলিশ বিশ্বের সেরা জাতের মাছ। বিশ্বের ইলিশ মজুদের ৭০ শতাংশই বাংলাদেশের।

নিউজ এইট্টিনকে সাক্ষাৎকার প্রদানকালে বাংলাদেশের মৎস্যমন্ত্রী ফরিদা আখতার বলেছেন, আমরা ক্ষমা চাচ্ছি এবার আমরা ভারতকে ইলিশ দিতে পারছি না। এই মাছটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আমরা লক্ষ্য করেছি আমাদের নিজেদের লোকেরা এর স্বাদ নিতে পারে না কারণ সমস্ত মাছ ভারতে চলে যায় এবং যা বাকি থাকে আমাদের লোকেদের জন্য খুব ব্যয়বহুল হয়ে যায়। আমরাও দুর্গাপূজা উদযাপন করি, আমাদের লোকেদেরও এখানে ইলিশ দরকার।

বাংলাদেশের ইলিশের ব্যাপক চাহিদা এবং নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, উপহার হিসেবে ইলিশ পাঠাতেন। দুর্গা পূজার আগে যেন ভারত কমপক্ষে ৪০০০ টন ইলিশ পায় সেটা তিনি নিশ্চিত করতেন। এর সমালোচনা করে ফরিদা আক্তার বলেন, এর কোনো দরকার ছিল না। তার এটা করা উচিত হয়নি। শুধু ভারতের সাথে সুসম্পর্কের স্বার্থে তিনি বাংলাদেশের জনগণের চাহিদার সঙ্গে আপস করেছেন।

বাংলাদেশের সরকারী সূত্রগুলি বলেছে যখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে তখন এই রফতানি খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। যদিও ভারত এই সময়ে এই জাতীয় বিষয়গুলি নিয়ে কোনও ইস্যু করতে চায় না,  তারা সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায়। এটি কেবল মাছ নয়, তিস্তার পানি চুক্তিও এখানে একটা বড় ইস্যু, বরং বলা চলে এটাই আসল ইস্যু।

ইলিশ মাছ ঢাকা দিল্লীর কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা সে বিষয়ে ফরিদা আক্তার বলেন, আমি মনে করি ভারত সরকারকে এই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমি মনে করি না আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক এতটা নাজুক যে ইলিশ রফতানি না হলে এর প্রভাব তার উপর পড়বে। ভারত যদি পরিস্থিতির উন্নতি চায়, তাদের তিস্তা সমস্যার সমাধান করা উচিত।

লালমোহননিউজ/ -এইচপি