লালমোহনে নারীদের দিয়ে জমি ও পুকুর দখল চেষ্টার অভিযোগ

লালমোহনে নারীদের দিয়ে জমি ও পুকুর দখল চেষ্টার অভিযোগ
লালমোহনে নিজের পুকুরে মাছ ধরতে গেলে এভাবেই আক্রণ করে ওমর শরীফের উপর।

ভোলার লালমোহনে বাড়ির নারীদের দিয়ে জমি ও পুকুর দখল চেষ্টার অভিযোগ করেছেন মো. ওমর সিরাজী নামে এক যুবক। তিনি লালমোহন ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড পেশকার হাওলা খান সাহেবের বাড়ির আবুল কাশেম হাওলাদারের ছেলে।

ওমর সিরাজী জানান, তার বাড়ির সামনে বড় পুকুর রয়েছ। পরিবারের লোকজন দীর্ঘ প্রায় ৮০ বছর যাবত পুকুরটি ভোগ দখল করে আসছে। ওমর সিরাজী পুকুরের অংশীদারদের থেকে দীর্ঘ ৬ বছর যাবত লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। ওই পুকুরটি অবৈধভাবে দখলে নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সুলতান আহমেদের ছেলে মো. নুরুল আমিন ও দত্তক ছেলে মো. নুরুল হক গংরা চেষ্টা করে আসছে। তারা এলাকার ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। এ বিষয়ে ২০০৩ সালে সালিশের মাধ্যমে তাদের জমি তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। বাড়ীর পিছনের পুকুরটি তারা ভোগদখল করছেন। ২০০৯ সালে তারা জোর করে তাদের নিজস্ব জমি ছাড়া অতিরিক্ত জমি ভোগ দখল করা শুরু করে এবং তারা আবার পুকুর দখল করার চেষ্টা করে, তখন এ ব্যাপারে লালমোহন থানায় বৈঠকে বসা হলে ওসি তাদেরকে ওই পুকুরে আসতে নিষেধ করে দেন। গত ১ বছর পূর্বে তারা জোর করে পুকুর মাছ ধরতে যায় এবং অতর্কিত হামলা করে আমাদেরকে আহত করে। তখন আমরা ফৌজদারী মামলা করলে নুরুল হকের ছেলে আয়ুব আলী হাজত বাস করে। মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে। 

এরপর গত ২১ এপ্রিল সকালে পুকুরে ওমর সিরাজী মাছ ধরতে গেলে নুরুল আমিনের স্ত্রী খায়রুন বিবিসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য নারীরা একত্রিত হয়ে ওমর সিরাজীকে বাধা দিয়ে হুমকি প্রদর্শন করে। যার একটি ভিডিও সাংবাদিকদের কাছে প্রদান করেন তিনি। ওমর সিরাজী আরো বলেন, ওই নারীদের ভয়ে বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। 
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নুরুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওমর সিরাজী ওই পুকুরের কিছুই না। সে জোর করে খাচ্ছে। আমি ওই পুকুরের মালিক। এজন্য আমরা ওই পুকুর ব্যবহার করছি।