চরফ্যাশনে অজ্ঞাত পরিচয়ের উদ্ধার হওয়া তরুণীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে

চরফ্যাশনে অজ্ঞাত পরিচয়ের উদ্ধার হওয়া তরুণীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে
ছবি: সংগৃহীত

হাসান লিটন, প্রতিনিধি, চরফ্যাশন (ভোলা): ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় মেঘনা নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা সেই তরুণীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে। ওই তরুণী উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইমামগঞ্জ এলাকার নূর আলমের ছেলে রাকিবের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে। তার নাম জোসনা। বয়স ১৮।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই তরুণীর মা মোসা. কুলসুম বেগম। এরআগে বুধবার সকালে চরফ্যাশনের আসলামপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদী সংলগ্ন বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক এলাকার মেঘনা নদীর তীর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই তরুণীর মা কুলসুম বেগম জানান, গত রমজান ঈদের ৮ দিন পর রাকিবের সঙ্গে আমার মেয়ে জোসনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর রাকিব তার স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখানে বসবাসের সময় মানিক নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক জড়ায় জোসনা। এ নিয়ে তার স্বামী রাকিবের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে জোসনা বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে এসেও মোবাইলে মানিক নামে ওই যুবকের সঙ্গে তাদের কথা হতো। মানিকের কথায়ই গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়ি থেকে জামা-কাপড় নিয়ে বের হয়ে যায় জোসনা। রাতে ফোন করে জোসনা আমাকে জানায়; লঞ্চে করে সে মানিকের সঙ্গে ঢাকায় যাচ্ছে। ঢাকায় যাওয়ার কিছুদিন পর পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে সে কথা বলেছে। তবে মানিক নামের ওই যুবককে আমরা ঠিকমতো চিনি না।

তিনি আরো জানান, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মোবাইলে মানিক জানায় আপনার মেয়েকে গ্রামে পাঠাবো, এজন্য খরচ পাঠান। পরে আমি এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ধার করে পাঠাই। এরপর মঙ্গলবার সকালে মানিক আমাকে জানায় জোসনা সদরঘাট থেকে হারিয়ে গেছে। পরে বুধবার দুপুরে আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে জানাতে পারি; আমার মেয়ের লাশ চরফ্যাশনের প্রশান্তি পার্ক এলাকার মেঘনা নদীর তীরে পড়েছিল। এরপর পুলিশ আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।

চরফ্যাশন থানার ওসি (তদন্ত) রিপন কুমার শাহ বলেন, মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এরপর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লালমোহননিউজ/ -এইচপি