বাবার বিক্রি করা জমি কিনে থাকতে দিয়েছেন বোনকে, ছোট ভাইয়ের ওয়ারিশ দাবী করে দখলের চেস্টা

বাবার বিক্রি করা জমি কিনে থাকতে দিয়েছেন বোনকে, ছোট ভাইয়ের ওয়ারিশ দাবী করে দখলের চেস্টা

ভোলার লালমোহনে বাবার বিক্রি করা জমি ফেরত নিয়ে বড় বোনকে থাকতে দিয়েছেন এক ভাই। ওই জমি পৈত্রিক ভিটা দাবী করে ছোট ভাই দখলের চেস্টা করে বোনের উপর হামলা করে। জমির ক্রেতা বড় ভাইয়ের জমি থেকেও কেটে নিচ্ছেন বিভিন্ন গাছ। কেটে নেওয়া গাছ স্ব-মিলে নিয়ে রেখেছে ভাই কাশেম। এমন অভিযোগ করেছেন জমির মালিক ভাই নুরুল ইসলাম ছোট ভাই কাশেমের বিরুদ্ধে।

তিনি জানান, তাদের বাবা জীবিত থাকাকালেই বাবার সব জমি বিক্রি করে গেছে অন্য মানুষদের কাছে। নুরুল ইসলাম ঢাকায় ব্যবসা ও কাজ করে টাকা জমিয়ে বাবার বিক্রি করা ৮ শতাংশ জমি ঘরসহ ফেরত নেন। ওই ঘরে থাকতে দেন বড় বোন জাহানারাকে। সেই ঘর ও জমি বাবার ওয়ারিশ দাবী করে এক ভাই কাশেম বারবার হামলা করছে বোনের উপর। এমনকি বোনকে মারধর করে ঘরও কুপিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বোন জাহানারা। 

বড় ভাই নুরুল ইসলাম জানান, বাবা আব্দুল মুনাফ প্রায় ২৮ বছর আগে মারা যায়। মা ১ বছর আগে মারা যায়। তারা মোট ৬ ভাই-বোন। বাবা মৃত্যুর আগেই বসতঘরসহ সব জমি বিক্রি করে গেছে। তাদের নামে কোন জমি ছিল না। পরে তিনি ঢাকায় কাজ করে টাকা জমিয়ে ঘরসহ ৮ শতাংশ জমি ফেরত নেন।

ওই জমিতে বড় বোন জাহানারাকে তার পরিবার নিয়ে থাকতে দেন তিনি। এছাড়া আরো ২০ শতাংশ জমি কিনেন মামাতো বোন জামাইয়ের কাছ থেকে। সেখানে ছোট ভাই কাশেমের নামেও ১২ শতাংশ জমি কিনেন। ওই টাকাও ভাই নুরুল ইসলাম দেন। ক্রয় করা জমিতে একসাথে বাড়ি করেন তারা। কিন্তু কয়েক বছর পরই কাশেম বেঁকে বসে।

সে বাবার বিক্রি করে যাওয়া ঘরসহ ৮ শতাংশ জমির ওয়ারিশ দাবী করে বসে। নিজের বোনকে ওই জমি থেকে তাড়াতে উঠে পড়ে লাগে কাশেম। এনিয়ে নুরুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে তার উপরও জোর জবরদস্তি শুরু করে কাশেম। নুরুল ইসলাম জমি কিনে বাড়ি করলেও তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। এই সুযোগে কাশেম তার ভাই নুরুল ইসলামের সম্পত্তি ভোগ করে আসছে। মা জীবিত থাকতেও ২৯টি গাছ কেটে নেয় কাশেম।

সেসময় মা বাধা দিলে মাকেও মারতে চেষ্টা করে। মায়ের মৃত্যুর পর ওই জমি দেখাশোনা করার জন্য বোন জাহানারাকে দায়ীত্ব দিলে ওই বোনের উপরও হামলা করে। বোন অভিযোগ করেন, তার ভাই নুরুল ইসলাম বাবার বিক্রি করা জমি পূণরায় ক্রয় করে আমাদের থাকতে দিয়েছে। কিন্তু কাশেম জমি ও ঘর থেকে আমাকে তাড়াতে বারবার হামলা করছে। ঘর কুপিয়েছে। দখল করতে চাইছে। নুর ইসলামের পক্ষে কথা বলায় কাশেম তার ঘরে হামলা করেছে, ঘর কুপিয়েছে।  

এদিকে ভাই কাশেম জানান, তার সাথে ভাই-বোনদের কোন বিরোধ নেই। ভাই নুরুল ইসলাম তার পরিবার নিয়ে ঢাকা থাকে। কিছুদিন আগে সবাইকে নিয়ে বেড়াতে এসেছিল। তারা বোনের ঘরে উঠে। আমি আমার ঘরে আনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আসেনি। উল্টো আমাকে মেরেছে সবার সামনে। গাছ কাটা প্রসঙ্গে কাশেম জানান, আমার ভাইয়ের গাছ আমি কাটতেই পারি।