বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামের বাড়ি আসলেন ছেলে

বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামের বাড়ি আসলেন ছেলে
ছবি: সংগৃহীত

বাবার ইচ্ছা ছিল একদিন তার ছেলে হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামের বাড়িতে আসবে। গ্রামের ছোটবড় সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবেন। এটা ছিল তার প্রবল শখ। প্রবাদ আছে শখের তোলা নাকি ৮০ টাকা।

এই কথার বাস্তবে রূপ দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির ইটালি প্রবাসী মো. আতিকুল ইসলাম সেন্টু মৃধা। তিনি ওই গ্রামের মৃত ছনু হাজীর ছেলে।

অবশেষে তার মৃত বাবার সেই স্বপ্নপূরণ করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হলিকপ্টারে চড়ে তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন। তার সঙ্গে  স্ত্রী, মেয়ে ও এক চাচা ছিল।  এ সময় হেলিকপ্টার দেখতে আত্মীয় স্বজনের পাশাপাশি এলাকায় শত শত উৎসুক জনতা  ভিড় করেন।

জানা যায়, ছনু হাজীর ৫ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে ছেলেরা প্রবাসে ভালো অবস্থান তৈরি করেছেন। এছাড়া এলাকায় ও রয়েছে ভালো অবস্থান। নিজ উদ্যোগে গ্রামের মধ্যে শখ করে একটি ঈদগাহ মাঠ করেন। তার বাবার স্বপ্ন ছিল ওই মাঠে ছেলেরা একদিন হেলিকপ্টারে চড়ে আসবে। বাবার অবর্তমানে তার রেখে যাওয়া ইচ্ছে পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে এলাকায় আসায় সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন।

এদিকে তার আসাকে কেন্দ্র করে তার বড় ভাই ওই মাঠে বাবার স্মরণে ফুটবল খেলার আয়োজন করেন। ওই খেলা দেখতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন বিকেলে ছুটে আসেন।

মো. হারুন মেম্বার বলেন, ছনু হাজী একজন শৌখিন মানুষ ছিলেন। সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করতেন। এলাকায় কীভাবে উন্নয়ন করা যায় তার সেই দিকে লক্ষ্য ছিল। তার ছেলেরাও হয়েছেন বাবার মতো। আজকে বাবার সেই রেখে যাওয়া স্বপ্নকে যেভাবে বাস্তবায়ন করেছে সত্যি খুশি হয়েছি।

মো. শিশু মিয়া বলেন. বাবার রেখে যাওয়া কথামতো সন্তান হেলিকপ্টার নিয়ে আসছেন এ শুনে এলাকার লোকজন দুপুর থেকেই ঈদগাহ মাঠে উপস্থিত হয়েছেন। একদিকে হেলিকপ্টার নিয়ে ছেলে আসা অন্যদিকে গ্রামের মধ্যে একটি ব্যতিক্রমী ফুটবল খেলার আয়োজন সত্যি ভালো লেগেছে।

মিন্টু মৃধা বলেন, আতিকুল ইসলাম সেন্টু আমার ভাই। দীর্ঘ বছর ধরে তিনি প্রবাসে আছেন। এর আগে কয়েক দফায় তিনি দেশে আসেন। কিন্তুর তার বাবার দীর্ঘ দিনের ইচ্ছা ছিল খুব ধুমধাম করে হেলিকপ্টার নিয়ে ছেলে বাড়িতে আসার। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই ইচ্ছা পূরণ করেছেন। সবার কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন আমাদেরকে ভালো রাখেন।

-এইচপি