প্রবাস ফেরত স্বামীকে পুড়িয়ে হত্যা

নেত্রকোণার মদনে প্রবাসফেরত স্বামীকে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা স্ত্রী মুক্তা আক্তার এবং শাশুড়ি লুৎফুন নেছাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক অপারেশনস অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হত্যা মামলার মূলহোতা নিহতের স্ত্রী মুক্তা আক্তার এবং শাশুড়ি লুৎফুন নেছা।
মামলার এজহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ বছর আগে এখলাছ মিয়ার সঙ্গে মুক্তা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর এখলাছ মিয়া বিদেশে চলে গেলে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।
এখলাছ মিয়া বিদেশ থেকে উপার্জিত অর্থ তার স্ত্রীর কাছে পাঠাতেন। ৫ বছর বিদেশে থাকার পর এখলাছ মিয়া বাড়িতে এসে তার উপার্জিত পাঠানো অর্থসহ স্ত্রীকে আনতে গেলে তার স্ত্রী টাকা-পয়সা দেবে না এবং তার বাড়িতে আসবে না বলে জানান। এতে তাদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী-শাশুড়িসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন এখলাছ মিয়ার হাত-পা বেঁধে পেট্রল ঢেলে দিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে এখলাছ মিয়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
এখলাছ মিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসক। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে চিকিৎসকরা তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্ত্রী-শ্বশুর-শাশুড়িসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করে নেত্রকোণার মদন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের চাচাতো ভাই মো. জসিম উদ্দিন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র্যাব-১৪ সদর ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক অপারেশনস অফিসার মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ময়মনসিংহ মহানগরীর সানকিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার মূলহোতা নিহতের স্ত্রী মুক্তা আক্তার ও শাশুড়ি লুৎফুন নেছাকে গ্রেফতার করে। পরে আসামিদের নেত্রকোণা জেলার মদন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
লালমোহননিউজ/ -এইচপি