জন্ম সনদ পাওয়ার আগেই ফিলিস্তিনি শিশুর ভাগ্যে জুটলো মৃত্যু সনদ

জন্ম সনদ পাওয়ার আগেই ফিলিস্তিনি শিশুর ভাগ্যে জুটলো মৃত্যু সনদ
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তিন সপ্তাহ ধরে টানা বোমা হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। নজিরবিহীন এ হামলার ফলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উপত্যকাটিতে। প্রতিদিনই শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটছে সেখানে।

এই যুদ্ধে ইসরায়েলি নির্বিচার হামলায় গাজা উপত্যকায় হৃদয়বিদারক এক ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলের হামলায় শনিবার জন্ম নেওয়া এক শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে রোববার।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে মর্মান্তিক এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবষর্ণে সদ্য জন্ম নেয়া এক শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে। উদয় আবু মহসেন নামের ওই শিশু ইসরায়েলি হামলার সাম্প্রতিক শিকারে পরিণত হয়েছে।

ফিলিস্তিনের আলোকচিত্রী বেলাল খালেদ। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে মানুষের মৃত্যু আর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দী করছেন তিনি। তার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো ছোট্ট এক শিশুর দেহ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উদয় আবু মহসেন নামের ওই শিশুটির কাফনে মোড়ানো ছবি শেয়ার করেছেন তিনি।

এক্সে ছবিটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, উদয় আবু মহসেন। সে একদিন বয়সী শিশু ছিল। তার জন্ম সনদ ইস্যু করার আগে মৃত্যুর সনদ দেওয়া হয়েছে।

গাজা উপত্যকার ২৩ লাখ বাসিন্দা অর্ধেকরও বেশি শিশু। যুদ্ধের বলি বেশি হচ্ছে এই শিশুরা। টানা বোমাবর্ষণে উপত্যকায় ভীতিকর পরিস্থিতিতে দিন পার করছে তারা। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চলমান হামলায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। রোববার গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির এই সংখ্যা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ হাজার ৩৪২ জনই শিশু এবং ২ হাজার ৬২ জন নারী।

এই সময়ে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছেন আরো ২০ হাজার ২৪২ জন। অন্যদিকে, উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রাণহানি ১ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ৫ হাজারের বেশি মানুষ।

লালমোহননিউজ/ -এইচপি