আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে স্বাক্ষীর উপর হামলা

আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে স্বাক্ষীর উপর হামলা

ভোলা আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে মামলার স্বাক্ষী ও জামাতার উপর হামলা চালানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে ভোলার যুগিরগোল ঈদগাহের সামনে অটো রিকশাযোগে ফেরার পথে অটো থেকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে মারপিট করে হামলাকারীরা।

হামলায় আহত লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী ও তার জামাতা মো. শেখ সাদী। জামাতাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী এ হামলার জন্য তার মামলার আসামী লালমোহনের ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নেয়ামতপুর গ্রামের মাহাবুব আলমের ছেলে রুবেলকে দায়ী করেন।

রুবেল ২টি গরুসহ ৪ মাস আগে পুলিশের হাতে আটক হয়। এর মধ্যে একটি গরুর মালিক তার গরু সনাক্ত করে নিয়ে যায়। আরেকটি গরু মোতাহার হোসেন পাটোয়ারীর। পরে মামলা হলে রুবেল হাট থেকে কথিত একটি ক্রয় রিসিট দাখিল করে মোতাহার হোসেনের গরুটি তার বলে দাবী করে। এ কারণে মালিক মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী গরুটি ফেরত পাচ্ছেন না। আদালতে বিগত ৪ মাস ধরে মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে। আদালত থেকে উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়ীত্ব দেওয়া হলে তদন্ত কর্মকর্তা রুবেলের গরু ক্রয়ের সত্যতা পাননি।

এছাড়া রমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাও গরুটি মোতাহার হোসেন পাটোয়ারীর বলে প্রত্যায়ন দেন। এরপরও রুবেল তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্দে আপত্তি দিলে বুধবার ভোলা আদালতে শুনানীকালে পূণরায় তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসারকে দেওয়া হয় বলে মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী জানান। শুনানী শেষে মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী তার জামাতা মো. শেখ সাদীসহ লালমোহন ফেরার পথে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। 

গরুটি বর্তমানে লালমোহন থানা হেফাজতে রয়েছে। কোন শুরাহা না হওয়ায় বিগত ৪মাস ধরে কেউই গরুটি নিতে পারছেন না। তবে মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী প্রতিদিন নিয়মমত গরুটিকে খাবার দেওয়া ও যত্ন করতে দেখা যায়।