বিশ্বে ৫ কোটি মানুষ ‘আধুনিক দাসত্বের’ শিকার

ওয়ার্ক ফ্রি এর প্রতিবেদন

বিশ্বে ৫ কোটি মানুষ ‘আধুনিক দাসত্বের’ শিকার
ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক দাসত্ব সূচক ২০২৩ (গ্লোবাল স্ল্যাভারি ইনডেক্স) প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন ওয়ার্ক ফ্রি। বুধবার (২৪ মে) প্রকাশিত এই সূচকে উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও মৌরিতানিয়া শীর্ষ ৩-এ রয়েছে।

এর আগে ২০১৬ সালে এ সূচক প্রকাশ করা হয়েছিল। এর পাঁচ বছর পর ২০২১ সালে প্রকাশিত সূচকে আধুনিক দাসত্বের শিকার মানুষের সংখ্যা ১ কোটির বেশি বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আধুনিক দাসত্বের আওতায় রয়েছে জোরপূর্বক শ্রম অথবা জোরপূর্বক বিয়েতে বাধ্য করা, বাণিজ্যিকভাবে যৌনকাজে ব্যবহার, মানব পাচারের শিকার লোকজন, তাদের সঙ্গে দাসদের মতো আচরণ করা এবং শিশুদের বিক্রি করা।

সূচকের তথ্যানুযায়ী, ২ কোটি ৭৬ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা এবং ২ কোটি ২০ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক বিয়েতে বাধ্য করা হয়েছে। তালিকার শীর্ষে থাকা কর্তৃত্ববাদী উত্তর কোরিয়া প্রতি হাজারে কমপক্ষে ১০৫ জন মানুষ আধুনিক দাসত্বের শিকার হচ্ছেন।

দ্বিতীয় স্থানে আছে আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়া। সেখানে এক হাজার মানুষের মধ্যে ৯০ জনের বেশি মানুষ দাসত্বের শিকার। অপর দিকে তৃতীয় স্থানে থাকা আফ্রিকার আরেকটি দেশ মৌরিতানিয়ায় প্রতি হাজারে ৩২ জন আধুনিক দাসত্বের শিকার।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েত তালিকার শীর্ষ ১০-এ আছে। এসব দেশে আইন করে প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার সীমিত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শীর্ষ ১০-এ আছে তুরস্ক, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নাম।

শীর্ষ অর্থনীতির দেশের জোট জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোতে বিভিন্নভাবে নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের সংখ্যাও অনেক বেশী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতে এক কোটি ১০ লাখ, চীনে ৫০ লাখ ও রাশিয়ায় ১৮ লাখ মানুষ নিপীড়িত হচ্ছে।

-এইচপি