ভোলা–বরিশাল সেতুর দাবিতে আন্দোলনরতদের পাশে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের প্রতিনিধি দল

ভোলা–বরিশাল সেতুর দাবিতে আন্দোলনরতদের পাশে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের প্রতিনিধি দল

মো. জসিম জনি, লালমোহন নিউজ:
ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণের দাবিতে চলমান ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও লালমোহন–তজুমদ্দিনের গণমানুষের নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম–এর পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়।

প্রতিনিধি দলটি সকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের প্রতি সংহতি ও সমর্থন জানায়। এ সময় তারা আন্দোলনরত শতাধিক ছাত্র-যুবকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল, বিশুদ্ধ পানি এবং প্রয়োজনীয় উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। এতে আন্দোলনস্থলে উপস্থিতদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ে।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণ ভোলার মানুষের বহুদিনের দাবি। এই সেতু হলে ভোলার যোগাযোগব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটবে, শিল্প-বাণিজ্য বাড়বে এবং দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে। তাই ভোলার মানুষের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম সবসময় জনগণের পাশে আছেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন—ইলিয়াস হোসেন আরজু, নাসিম মাতাব্বর, মনির হোসেন, হাসান সুমন | এছাড়াও লালমোহন থেকে উপস্থিত ছিলেন—ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মেহেরাব হোসেন অপি |

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আরও বলেন, “ভোলা–বরিশাল সেতু দ্রুত নির্মিত হলে স্থানীয় অর্থনীতি যেমন উন্নত হবে, তেমনই চিকিৎসা, শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় কাজ সহজ হবে। এই সেতুর প্রয়োজনীয়তা আজ আর ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না।”

আন্দোলনকারীরা জানান, ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণ তাদের জীবনের বাস্তব চাহিদা। যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি, অতিরিক্ত ভ্রমণ ব্যয়, হাসপাতাল–বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতে ভোগান্তির কারণে তারা দীর্ঘদিন ধরে এ দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলেন, “এই সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলবে।”

ভোলা–বরিশাল সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। দ্বীপ জেলা ভোলাকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করতে এই সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। এ সেতু বাস্তবায়ন হলে ভোলার কৃষি, মৎস্য, শিল্প ও পর্যটন খাতে ব্যাপক অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে।