স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দেড় মণ দুধ দিয়ে গোসল করলেন স্বামী
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় স্ত্রী তালাক দেওয়ায় নিজেকে শুদ্ধ করতে দেড় মণ দুধ দিয়ে গোসল করেছেন স্বামী সবুজ মিয়া। তালাকের কাগজ হাতে পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে দুধ দিয়ে গোসল করেন তিনি।
সবুজ মিয়া চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার রুদ্রনগর গ্রামের মো. মিন্টু মিয়ার ছেলে। প্রেম করে চুয়াডাঙ্গা শহরের কানা পুকুর পাড়ার জনৈক ব্যক্তির মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। দীর্ঘ ৮ বছর প্রেম করার পর মা-বাবাকে না জানিয়ে ২০১৮ সালে তিনি বিয়ে করেন পছন্দের ওই পাত্রীকে।
সবুজ মিয়া বলেন, শুরুতে বেশ সুখে-শান্তিতে থাকলেও বিয়ের দেড়-দু’বছরের মাথায় আমার মা-বাবার কাছ থেকে আলাদা হতে হবে বলে জানায় স্ত্রী। সংসার জীবনের ৫ বছরের মাথায় আলাদা হওয়া নিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের দ্বন্দ্ব ও অশান্তি। পরিশেষে গত ২৯ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর দেওয়া তালাকনামা হাতে পাই আমি। এরপর আমি নিজের অতীত ভুল ছিল মনে করে দেড় মণ দুধ দিয়ে গোসল করে শুদ্ধতা অর্জন করেছি।
সবুজ মিয়া আরো বলেন, স্ত্রীর অশান্তির কারণে আমি তাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যাই। সেখানে বেশ কয়েক বছর ভালোই ছিলাম। তারপর আবার গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসি। এখানে আসার পর থেকে আবার শুরু হয় অশান্তি। আমাকে মানসিকভাবে যন্ত্রণা দিতে শুরু করে আমার স্ত্রী। কিন্তু আমি আমাদের মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেক সহ্য করে তাকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি। তার সব চাওয়া-পাওয়া আমি পূরণ করেছি সবসময়। কিন্তু আমার স্ত্রী সবসময় আমাকে মানসিক অশান্তির মধ্যে রাখত।
পরে একপর্যায়ে রোববার আমাদের ডিভোর্স হয়েছে। এ কারণে আমি মঙ্গলবার দুপুরে দুধ দিয়ে গোসল করে ঘরে উঠলাম। আজ আমি খুব খুশি এবং পাপমুক্ত হলাম। কারণ, দীর্ঘ দেড় বছর আমার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে আমিসহ আমার পরিবারকে। বিচ্ছেদের পর তার এই দুধ দিয়ে গোসল করার খবরে গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ তাকে দেখতে ভিড় জমায়।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, সবুজ মিয়া প্রেম করে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত কোনোভাবেই তার মা-বাবার সঙ্গে একসঙ্গে সংসার করতে তার স্ত্রীকে রাজি করাতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অশান্তির পর আবার প্রায় দেড় বছর তাকে মামলা চালাতে হয়েছে। অবশেষে মুক্তি পেয়েছে সে। রোববার তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। এ জন্য আজ সে দুধ দিয়ে গোসল করছে বলে আমরা দেখতে এলাম।
লালমোহননিউজ/ -এইচপি