ভোলায় আতঙ্ক কমছে না রাসেল ভাইপার সাপের
ভোলায় রাসেল ভাইপার আতঙ্ক দিনদিন বাড়ছে। গত পাঁচদিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২টি এই সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি সাপ মেরে ফেলেছেন স্থানীয়রা। আর একটি সাপ বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলাসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি ও খেলার মাঠে একের পর এক রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলছে। সাপটি দেখার সঙ্গে সঙ্গেই এলাকাবাসী মেরে ফেলছেন। একের পর এক এই সাপ উদ্ধারে জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার শিবপুরের ‘গরিবের ডুবাই নামে খ্যাত’ চায়না ইপিজেড বালুর মাঠে একটি, বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের জসিম হাওলাদারের বাড়িতে একটি ও তজুমউদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের একটি বসতবাড়ির সামনে একটি রাসেল ভাইপার পাওয়া যায়।
এছাড়াও গত বুধবার (১৯ জুন) তজুমউদ্দিন উপজেলার চৌমুহনী এলাকায় খেলার মাঠ, মঙ্গলবার (১৮ জুন) সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশায় ইউপির পাকার মাথা এলাকায় বসতবাড়ির পাশের জালের সঙ্গে প্যাঁচানো অবস্থায় একটি রাসেল ভাইপার উদ্ধার করা হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জালু মাঝির বসতঘর, রোববার (১৬ জুন) লালমোহনের লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউপির সৈয়দাবাদ এলাকায় একটি বাড়ির বাথরুমে, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা ও সাগর উপকূল উপজেলা চরফ্যাশনের বিভিন্ন ইউনিয়নে আরো পাঁচটি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে সাপগুলোকে মেরে ফেলেন।
এর মধ্যে তজুমউদ্দিন উপজেলায় পাওয়া একটি সাপ বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে জেলাজুড়ে সর্বসাধারণের মাঝে রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক জানান, সাপটি লোকালয়ে কমই দেখা যায়। বাচ্চা দেওয়ার কারণে হয়তো লোকালয়ে আসে। তবে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম শফিকুজ্জামান, এই সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত ও এর অসহিষ্ণু ব্যবহার। সাপটি লম্বা বহির্গামী বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হন। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়।
লালমোহননিউজ/ -এইচপি