ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট লালমোহনের পশুর হাট
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভোলার লালমোহনে জমে উঠেছে পশুর হাট। ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন হওয়ায় হাটগুলোতে পুরো দমে চলছে বেচা-কেনা। কেউ বাজারে এসেছেন কোরবানি উপলক্ষে পশু ক্রয় করতে। আবার কেউ এসেছেন পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে। এতে করে কোরবানির পশুর হাটগুলো ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, এ বছর লালমোহনে কোরবানি উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার পশু। যার মধ্যে রয়েছে; গরু ১০,৯৭৯টি, মহিষ ১৫৫টি, ছাগল ৮,০৩৭টি এবং ভেড়া ২২৩টি। তবে বাজারে পশুর চাহিদা রয়েছে ১৮,৪৩৫টি। এতে করে লালমোহনে চাহিদার তুলনায় অন্তত এক হাজার পশু বেশি রয়েছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার লালমোহন পৌরশহরের প্রধান পশুর হাটে গরু কিনতে আসা মো. দুলাল উদ্দিন ও রফিজল ইসলাম জানান, আর মাত্র কয়েকদিন পরেই কোরবানির ঈদ। যার কারণে এ হাটে এসেছি গরু কিনতে। এরআগেও কয়েকটি হাটে গিয়েছি। হাট ঘুরে বুঝতে পেরেছি এ বছর কোরবানির পশুর দাম বিগত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবুও সাধ্যের মধ্যে পছন্দের গরু কেনার চেষ্টা করছি।
অন্যদিকে এ হাটে খামারের গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন আব্দুর রহিম ও মিরাজ হোসেন। তারা বলেন, ক্রেতারা দাম আমাদের চাহিদার থেকে কম বলছেন। তাদের দামে আমরা গরু দিতে পারছি না। কারণ এবছর খাদ্যের দাম একটু বেশি হওয়ায় গরুর পিছনে আমাদের খরচও বেশি হয়েছে। তবুও ক্রেতাদের সঙ্গে দামে মিললে গরুগুলো বিক্রি করে দিবো।
লালমোহন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. বিল্লাল উদ্দিন জানান, হাটে আনা পশুর স্বাস্থ্য সঠিক রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে আমাদের মেডিকেল টিম প্রতিটি পশুর হাট মনিটরিং করছে।
এদিকে, কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তার বিষয়ে লালমোহন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, হাটে পশু কেনা-বেচা নির্বিঘ্ন করতে আমাদের পুলিশ তৎফর রয়েছে। এছাড়া, জাল টাকা শনাক্ত করতে প্রতিটি পশুর হাটে একটি করে জাল টাকা শনাক্ত করার মেশিন রাখা হয়েছে।