জে.এম.মমিন, বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু নদীতে মাছ না থাকায় সুনসান নীরবতা জেলে পল্লী, স্থানীয় বাজার ও মাছঘাট গুলো ৷ তাই হতাশায় দিন কাটছে তাদের ৷ মাছ পাওয়ার আশায় বার বার নদীতে গিয়ে আশানুরূপ মাছ না পাওয়ায় খালি হাতেই ফিরে আসছে তারা ৷
বিভিন্ন মাছঘাট ঘুড়ে দেখাযায়, ঘাটে নোঙর করে আছে সারি সারি নৌকা । জেলেরা কেউ নৌকায় বসে, কেউবা নদীর পাড়ে বসেই জাল বুনে সময় পার করছেন। কেউবা পাড় করছেন অলস সময় ৷
নদীতে চর জাগা, নাব্যতা সংকট, উজানের প্রবাহ কম থাকা এবং বৃষ্টি কম হওয়ায় নদীতে পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়া, উজানে পাহাড়ি ঢল না থাকায় ভোলার নদীতে এখনো কাঙ্খিত রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে না বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ ও জেলেরা। তারা বলছেন, আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস পুরো মৌসুম। প্রতি বছর এ সময়ে ইলিশ বেচাকেনায় দৌড়ঝাঁপ থাকত। অথচ এবছর ঘাটগুলোতে তার পুরোই বিপরীত চিত্র।
দেউলা শিবপুর গ্রামের মোঃ ইদ্রিস মাঝি জানান, এবছর নদীতে মাছ খুবই কম ৷ নদীতে গেলে লাভ তো দূরে থাক তেল খরচই উঠেনা ৷ তাই মেঘনা নদী থেকে নৌকা নিয়ে চলে এসেছি ৷ জাল সেলাই করে আবারো যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি ৷
একই এলাকার জেলে জুয়েল, আজাহার ও আকবর জানান, মাঝে মধ্যে ৩-৪ হাজার টাকা হয় ৷ বেশির ভাগ সময়ই খরচ ওঠে না ৷ এজন্য এখন আর যাই না ৷ এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ও মৎস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা এনে এখন আমরা বিপাকে ৷
মাছ ব্যবসায়ী নুরুল আমিন কাজি জানান, এবছর নদীতে তেমন মাছ নেই ৷ অনেক জেলেকে দাদন দিয়েছি ৷ কাঙ্খিত মাছ না থাকায় সেই টাকা তুলতে পারছি না ৷
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বোরহানউদ্দিন ( অ.দা) মো. জামাল হোসাইন জানান, এখানকার অভয়াশ্রমের মোহনায় অসংখ্য ডুবোচর। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় অতিরিক্ত গরম বিরাজমান।মাছের পেটে এখনো ডিম আসেনি।তাই সমুদ্র থেকে নদীতে মাছ আসছে না।তবে কিছুদিন পর মাছ পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
লালমোহননিউজ/ -এইচপি