ইতিহাসের সব রেকর্ড ভাঙবে সোনার দামে

২০২৩ সালের শুরু থেকেই সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে চলতি মাসে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দর নিম্নমুখী হয়েছে। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে না। আন্তর্জাতিক বাজারে শিগগিরই সোনার মূল্য বৃদ্ধি পাবে। দ্রুতগতিতে তা ইতিহাসের সর্বোচ্চ হবে।
বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউবিএস গ্লোবাল ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট এ ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। তারা জানিয়েছে, মে মাসে এখন পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম কমেছে ২ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের সীমা বৃদ্ধি নিয়ে ইতিবাচক আভাস পাওয়ায় এ নিম্নগামিতা দেখা দিয়েছে। তবে সবমিলিয়ে ২০২৩ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সোনার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ শতাংশেরও বেশি।
ইউবিএস মনে করছে, মূল্যবান ধাতুটির দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ হবে। নেপথ্যে রয়েছে ৩ কারণ-
১. কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর চাহিদা বৃদ্ধি
ইউবিএস গ্লোবাল ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মার্ক হায়েফেলে বলেন, ২০২২ সালে সোনার নিট ক্রেতা ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। এ নিয়ে টানা ১৩ বছর দামি ধাতুটির মূল গ্রাহক তারা। সেগুলোর চাহিদা শিগগিরই কমার সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) তথ্যমতে; এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৭০০ টন সোনা কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। ২০১০ সালের পর যা রেকর্ড। ঐ বছর ৫০০ টন সোনা কিনেছিল তারা।
২. ডলারের মান হ্রাস
গত ১ বছরে প্রধান ৬ মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচকের পতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। এতে সোনার উজ্জ্বলতা আরো বেড়েছে।
হায়েফেলে বলেন, বিগত ১৪ মাসে ৫০০ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বাড়িয়েছে ইউএস ফেড। শিগগিরই সেখান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। এতে ডলার দুর্বল হয়েছে।
৩. মন্দার ঝুঁকি
ইউবিএস গ্লোবাল ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত উপাত্তে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্থর হয়েছে। চলমান বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি প্রত্যাশার চেয়ে কমেছে।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়; বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির শিল্প-কারখানায় টানা ৬ মাস উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। কারণ, ভোক্তা চাহিদা কম রয়েছে।
২০২০ সালে সোনার দর উঠেছিল ২০৭২ ডলার ৪৯ সেন্টে। এখন পর্যন্ত বিশ্ব ইতিহাসে তা সবচেয়ে বেশি দাম। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আউন্সপ্রতি মূল্য উঠেছিল ২০৭২ ডলার ১৯ সেন্টে। সে সময় সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল দুঃসময়ের বন্ধু এই ধাতু।
লালমোহননিউজ/ -এইচপি