ইদুর মরার গন্ধ খুঁজতে ঘরে গিয়ে দেখেন বৃদ্ধার লাশ

ইদুর মরার গন্ধ খুঁজতে ঘরে গিয়ে দেখেন বৃদ্ধার লাশ

মো. জসিম জনি।।
পঁচা গন্ধে বাড়ির লোকজন অতিস্ট। ইদুর মরেছে ভেবে গন্ধ খুঁজতে গিয়ে বদ্ধ ঘরে পেলেন বৃদ্ধার লাশ। ৮৫ বছরের কৃষ্ণা দাসীর লাশ বুধবার রাতে লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের দক্ষিণ কালমা গ্রাম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই বৃদ্ধার স্বামী অম্মৃকা চরণ মাঝি বছর দশ আগে মৃত্যুবরণ করে। তার ২ ছেলে ২ মেয়ে। মেয়েরা শ্বশুর বাড়িতে থাকে। এক ছেলে ভারতে ও অপর ছেলে ঢাকায় কাজ করে। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ঘরে একাই বসবাস করতো কৃষ্ণা দাসী। জীবিকা চালাতো বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে ঝার-ফুঁ এর কাজ করে। এলাকায় তিনি ‘খনকার’ হিসেবে পরিচিত। 

বৃদ্ধা কৃষ্ণা দাসীর দেবরের ছেলে মধ্য কালমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসিত রঞ্জন মন্ডল জানান, একই বাড়িতে বসবাস করলেও তার চাচীর ঘরে তেমন যাওয়া হয়না। সর্বশেষ গত রবিবার এলাকার মাতাব্বর বাড়িতে গিয়ে ঝাড় ফুঁ এর কাজ করে আসার পর আর তাকে দেখননি। তার এক মেয়ে পাশেই চরলক্ষ্মী গ্রামে থাকে। তিনি সেখানেও যান। একারণে বৃদ্ধার আর খোঁজ নেননি কেউ।

মঙ্গলবার থেকে বাড়িতে উৎকট গন্ধ নাকে আসে সবার। প্রথমে তেমন পাত্তা না দিলেও বুধবার বিকেলে অসিত রঞ্জন মন্ডল স্কুল থেকে ফিরে ভাত খেতে বসলে গন্ধের কারণে খেতে পারেননি। পরে ইদুর মরেছে ভেবে গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে বৃদ্ধার ঘরের দিক থেকে গন্ধ পেয়ে ঘরের দরজা খুলে দেখেন চৌকির উপর মশারী টানানো। মশারীর মধ্যে অর্ধেক অংশ উপুর হয়ে এবং ডান পা মাটির দিকে ঝুলে মরে আছেন বৃদ্ধা। এঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন হাওলাদারকে জানান তিনি। খবর পেয়ে রাতের দিকে লালমোহন থানা পুলিশ বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে। 

লালমোহন থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মাহবুবুর জানান, লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।