লালমোহননিউজ ডেস্কঃ বিএনপি’র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে কৃষিখাত পিছিয়ে পড়েছিল। সার চাওয়ায় কৃষককে হত্যা করেছিল বিএনপি সরকার। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কৃষকের ঘরে ঘরে সার পৌঁছে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৩ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ফসল ফলানো, কৃষি খামার, কৃষি গবেষণা, মৎস্য চাষে অবদান রাখায় ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পদক তুলে দেন। এদের মধ্যে চার ব্যক্তি এবং মৎস্য অধিদপ্তর পেয়েছে স্বর্ণ পদক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশে যখনই যারা ক্ষমতায় এসেছে, তাদের সবাই দেশের মানুষকে দরিদ্র দেখিয়ে বিদেশ থেকে ভিক্ষার টাকা এনে নিজেরা খেয়ে মোটাতাজা হয়েছেন। বিদেশ থেকে আনা কাচা টাকার মাধ্যমে নিজেরা হয়েছেন বিত্তবান। অন্যদিকে দেশের কঙ্কালসার, দরিদ্র মানুষগুলো হয়েছেন আরও দরিদ্র।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই দেশের কৃষকদের উন্নয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেন। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে দেশের কৃষকদের জীবন-মানোন্নয়নে অনুদান দেওয়া শুরু করেছিলেন। তিনি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে গেছেন। দেশের মানুষ যাতে উদ্বৃত্ত খাদ্যসামগ্রী মজুদ করতে পারে, সেজন্য প্রতি মহকুমায় গুদাম তৈরি করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় জাতির পিতাকে হত্যার পর কৃষকের উন্নয়নে নেওয়া নানা পদক্ষেপ বন্ধ হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লেখাপড়া শিখে অনেকেই জমিতে কাজ করতে যেতে চাইবে না। আমি বলব, আমাদের কৃষিমন্ত্রী এখানে আছেন, যে আমাদের শিক্ষা কারিকুলামে কৃষি কাজে আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন আন্তরিক হয় এবং তার ব্যবহারিক শিক্ষা যেন থাকে সেটার দিকে বিশেষভাবে ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে আমি মনে করি।’ ‘সে জন্য আমি চাইছি যে, ছেলেমেয়েরা যেন ছোট বেলা থেকেই এটা শিখে নেয়, তাদের জানা উচিত, শেখা উচিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কৃষি থেকে ধীরে ধীরে আমরা শিল্পে উন্নীত হবো, কিন্তু কৃষি বাদ দিয়ে না। কারণ, কৃষিই তো আমার কাঁচামালের যোগানটা দেবে। আর খাদ্যের যোগান দেবে।’
হাসান পিন্টু
‘ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের চিন্তা করছে সরকার’
মানুষের জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের......বিস্তারিত