নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভোলার লালমোহন সদর হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট বিনয় কৃষ্ণ গোলদার কারিমা নামের এক ইমারজেন্সি ডেলিভারী রোগীকে ভালো করে না দেখেই রের্পাড করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালের দিকে কারিমা নামের এক রোগীকে ডেলিভারীর জন্য লালমোহন সদর হাসপাতালে আনা হলে ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ তাকে দেখেই তাৎক্ষনিক ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন রোগীর স্বজনদের। তবে তারা রোগীকে নিয়ে ঢাকায় না গিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালের উদ্দ্যেশে এমবুলেন্সে করে রওয়ানা দিলে ওই রোগী পথিমধ্যেই কন্যা সন্তান প্রসব করেন বলে জানা যায়।
কারিমা নামের ওই রোগীর ভাই অভিযোগ করে বলেন, আমরা সকালের দিকে কারিমাকে নিয়ে লালমোহন হাসপাতালে গেলে সেখানের গাইনী কনসালটেন্ট ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ গোলদার তাকে না দেখেই ঢাকাতে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আমরা তাৎক্ষণিক কারিমাকে নিয়ে ভোলার উদ্দ্যেশে রওয়ানা দিলে পথিমধ্যেই সে সন্তান প্রসব করেন।
তিনি আরো বলেন,তার মতো একজন গাইনী কনসালটেন্ট ডাক্তারের এরকম সিন্ধান্ত খুবই ন্যাক্কারজনক। এতে করে রোগীর স্বজনরা বিপাকে পড়েন। এরকম সিদ্ধান্তে দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের ব্যাপক হয়রানী হতে হয়।
ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ গোলদারের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি লালমোহন সদর হাসপাতালের দায়িত্ব প্রাপ্ত গাইনী ডাক্তার হওয়া সত্বেও তিনি রীতিমত ব্যস্ত থাকেন জেলার চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে সিজার নিয়ে। যেখান থেকে তিনি মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন প্রতিনিয়ত।
এব্যাপারে ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারিমা নামের ওই রোগীর ডেলিভারীর তারিখ এখনো ১ মাস ১ সপ্তাহ বাকি। আর বাচ্চা ছোট হওয়ার কারণে তাকে বলেছি বরিশাল নিয়ে যাওয়ার জন্য। যদি পথিমধ্যে বাচ্চা প্রসব করে তাহলে এটা যারা আল্ট্রাসোনোগ্রাম করেছে তাদের ভুলের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।
হাসান পিন্টু
‘বিএনপিকে জবাব দিতে আ.লীগ মাঠে থাকবে: তোফায়েল আহমেদ’
1553 Shares Share on Facebook Share on Twitter আওয়ামী লীগ......বিস্তারিত