মোঃ জসিম জনি ॥
অবশেষে লালমোহন থানার বহুল আলোচিত ‘স্বঘোষিত শ্রেষ্ঠ ওসি’ হুমায়ুন কবীরকে বদলী করা হচ্ছে। লালমোহন থানার কয়েক লক্ষ টাকার গাছ বিনা টেন্ডারে কেটে নিজের জন্য ফার্ণিচার বানান ওসি হুমায়ুন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে দুর্ব্যবহার ও ধরে এনে নির্যাতনসহ নানান হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ৯৫ জন ওসি বিএনপি-জামায়াতের আমলে নিয়োগ পান এবং এখনো তাদের সাথে সখ্যতা রয়েছে বলে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সূত্র দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই তালিকায় লালমোহন থানার ওসি হুমায়ুন কবীরের নামও রয়েছে। চট্টগ্রামে থাকার সময় বিএনপির এক শীর্ষ নেতার সুপারীশে ওসি হুমায়ুনের চাকরী হয় বলেও সূত্র থেকে জানা গেছে। বুধবার ওসির বদলীর খবর শুনে থানাসহ স্থানীয় জনমনে স্বস্তি নেমে আসে।
ওসি হুমায়ুন লালমোহন থানার প্রায় ৩/৪ লক্ষ টাকার গাছ বিনা টেন্ডারে কেটে নিজের জন্য ফার্নিচার তৈরি করেন বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তৈরিকৃত অনেক ফার্ণিচার তিনি এর আগেও কয়েক দফায় নিজের বাড়িতে পাঠিয়েছেন। বুধবার বদলীর আদেশ শুনে ট্রাক ভরে বাকী ফার্ণিচার তিনি রাতেই পার করে দেন।
লালমোহনে সাংবাদিকদের সাথে সবসময় দুর্ব্যবহারসহ নানান অভিযোগে অভিযুক্ত ওসি হুমায়ুন কবীর লালমোহন থানায় ২০১৬ সালে বদলী হয়ে আসার আগে তজুমদ্দিন থানা থেকে এক পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানী করার অভিযোগে ক্লোজ হয়ে ভোলা পুলিশ লাইনে যায়। সেখান থেকে লালমোহন থানার আসার পর সবসময় নিজেকে দেশের শ্রেষ্ঠ ১০ জন ওসির মধ্যে একজন দাবী করে কথা বলতো। বুধবার তাকে বরগুনা পুলিশ লাইনে বদলী করা হয়েছে বলে পুলিশের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বদলি হওয়ার পর রাতে ট্রাক ভরে ফার্ণিচার ও মালামাল উঠাতে দেখা গেছে। পরে রাত ১০টার পর ট্রাকটি মালামাল নিয়ে চলে যায়। এসব ফার্ণিচার চট্টগ্রামে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এর আগেও তার বদলীর আদেশ হলে তা ঠেকিয়েছেন বলে একটি সূত্র জানায়।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক লালমোহন থানার একাধিক অফিসার জানান, তার কথা মতো কাজ না করায় এ পর্যন্ত প্রায় ১০/১২ জন এসআই, এএসআই ও একাধিক কনস্টেবলকে লালমোহন থানা থেকে বদলী করা হয়েছে। তাদের বদলী করে ওসি হুমায়ুন কবীর নিজের এলাকা পটুয়াখালী ও বাউফলের এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলদের আনেন। তাদের দিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করান ওসি হুমায়ুন কবীর। তার প্রধান সঙ্গী এসআই রেজাউলও ওসির এলাকার বলে জানা গেছে। এসআই রেজাউল লালমোহন থানায় প্রায় ৩ বছর থাকার পর বোরহানউদ্দিন থানায় বদলী হয়। সেখান থেকে মাত্র ২ মাসের মাথায় আবারো তাকে লালমোহন থানায় তদবীর করে নিয়ে আসে ওসি হুমায়ুন। এছাড়া তার এলাকাার বেশ কয়েকজন এএসআই তার সকল কাজের সঙ্গী। এ ব্যাপারে ওসির বক্তব্য নিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, থানার কোন গাছ কাটেননি। বদলীর বিষয়টিও তিনি জানেননা বলে জানান।
লালমোহন সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এসএম মিজানুর রহমান এ বিষয়ে এখনো কিছু জানেন না বলে জানান।
‘১৮৫ ‘লাশের স্বজন’ ওরা’
ওরা ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত হলেও উদ্যমে ঘাটতি নেই কোন। মহামারী করোনায় কেড়ে......বিস্তারিত