হাসান পিন্টু, লালমোহননিউজ টোয়ান্টিফোর ডটকম: ভোলার লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের পশ্চিম তারাগঞ্জ গ্রামের নুরনাহার (৪৪) প্রতিবন্ধীর কার্ড (সুবর্ণ নাগরিক) পাওয়ার পরও সরকারি ভাতা থেকে বঞ্চিত। গত ৩০ বছর যাবৎ নূর নাহার বেগম শারীরিক প্রতিবন্ধী। ৯ বছর বয়সে টাইফয়েড জ্বরে প্রতিবন্ধী হয়ে যান নূর নাহার। টায়ফয়েড জ্বরে তার বাম হাত ও বাম পা অবশ হয়ে যায়। তার বাবা তার সাধ্য অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা করান।
তবে তার পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তার বাবা-মা তাকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেনি। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর যাবৎ শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার পরও তার ভাগ্যে জুটেনি কোন সরকারি ভাতা। সে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিবন্ধী ব্যাক্তির পরিচয়পত্র “সুবর্ণ নাগরিক” পাওয়ার পরও সরকারি ভাতা থেকে বঞ্চিত।
নূর নাহার বেগম ক্ষোভের সাথে প্রতিবেদককে বলেন, আমি আর কবে ভাতা পাব বা সরকারী সহযোগিতা পাবো? দেশে সরকারের পরিবর্তন হয়। স্থানীয় জননেতারও পরিবর্তন হয়। তবে আমার ভাগ্যে জুটেনি কোনো সহায়তা। মনে হয় মরে গেলে আমার নামে ভাতা হবে! এই অচল শরীরটাকে নিয়ে কতজনেরই কাছে গেলাম। সবাই শুধু আশ্বাস দিয়েছে ভাতা দিবে বলে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন সরকারি ভাতা পাইনি। নির্বাচনের সময় সবাই আমাকে ও পরিবারকে বলে ভোট দিলে ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে তাদের কথা আমরা রাখি, কিন্তু তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখে না। ভোট শেষে তাদের আর দেখাও মিলে না। নূর নাহারের প্রতিবন্ধী পরিচয় পত্র “সুবর্ণ নাগরিক” এর আইডি নং ১৯৭৩০৯১৫৪১৯০০১৩৮৭-০২।
এ ব্যাপার উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ ইউসুফ আলী বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি স্থানের প্রতিবন্ধীদের তালিকা করছে এবং তাদের একটি প্রতিবন্ধী পরিচয় পত্রও দেওয়া হচ্ছে। যাদের প্রতিবন্ধি পরিচয়পত্র রয়েছে তারা ধীরে ধীরে সরকারি ভাতার আওতায় আসবে।
‘১৮৫ ‘লাশের স্বজন’ ওরা’
ওরা ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত হলেও উদ্যমে ঘাটতি নেই কোন। মহামারী করোনায় কেড়ে......বিস্তারিত