বিদ্রোহীদের বসিয়ে দিয়ে ভোলার লালমোহনে দুই ইউপিতে বিজয় নিশ্চিত করলেন আওয়ামী লীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। লালমোহন কালমা ইউনিয়নে আকতার হোসেন হাওলাদার ও রমাগঞ্জ ইউনিয়নে মো. গোলাম মোস্তফা নৌকা প্রতীক নিয়ে পূণরায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। রমাগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ৮২৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিত হাতপাখা প্রতিকের প্রার্থী ঈমাম উদ্দিন শামিম পেয়েছেন ১৫৩০ ভোট। কালমা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আকতার হোসেন হাওলাদার পেয়েছেন ১৪২২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাতপাখা প্রতীকের লোকমান পেয়েছেন ১৬২০ ভোট।
বুধবার লালমোহনের এই দুই ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েকটি কেন্দ্রের বাইরে ইউপি সদস্য প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও ৭নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে বোমাবাঝির অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম শুভরাজ। বোমাবাঝি করে তার ভোটারদের সরিয়ে দিয়ে তাকে ও এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ আনেন বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে। কালমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড তোরাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক ইউপি সদস্য প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রমাগঞ্জ ইউনিয়নেরর ৪নং ওয়ার্ড কেন্দ্রেও ইউপি সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
জানা গেছে, লালমোহনের কালমা ও রমাগঞ্জ ইউনিয়নে ৫ জন করে ১০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভোটের কয়েকদিন আগে বসিয়ে দেওয়া হয়। পরে নৌকার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় হাত পাখা প্রতীকের প্রার্থীদের সাথে।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, সুষ্ঠভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটচলাকালীন পুরো সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। দু’একটি কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীদের সমর্থকের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন তা নিয়ন্ত্রণ করে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আমির খসরু গাজী জানান, দুই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ চেয়ারম্যান পদে ৫ জন করে ১০ জন, ২২ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী ও ৮৪ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন
‘৮৩ বছর বয়সে ৩৫ বছরের স্ত্রীকে দিলেন মাতৃত্বের স্বাদ!’
1448 Shares Share on Facebook Share on Twitter বয়স যে......বিস্তারিত