তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥ তজুমদ্দিনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরমোজাম্মেলে চাঁদার দাবীতে লাঠিয়াল বাহিনীর ক্যাডারদের হাতে চার কৃষক নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। আহত কৃষকরা তজুমদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চর মোজাম্মেলে দীর্ঘদিন ওই কৃষকরা চাষাবাদ করছেন। গত রবিবার নিজেদের চাষকৃত জমির ধান আনতে যায় উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মিজিবাড়ির ছিদ্দিকুরের ছেলে নেছার উদ্দিন (৪২), আজিজল হকের ছেলে জসিম (৪০), নুরুল হকের ছেলে মোঃ মঞ্জু (৩৪) ও রাকিব (২২)। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে এসব ধান ও খড় কৃষকরা তিনটি ট্রলারে বোঝাই করার সময় ওই চরের হেলাল বাহিনীর ক্যাডার জামাল, শাহিন, মঞ্জুসহ ১০/১২ জন এসে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা দিতে তারা অপারগতা প্রকাশ করলে লাঠিয়ালরা কৃষক নেছারকে সেখানেই মারধোর করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে রেখে জসিম, মঞ্জু ও রাকিবকে জোড়পূর্বক তুলে নিয়ে ওই চরের মুক্তিযোদ্ধা বাজারের একটি ক্লাবে আটকে রেখে নির্যাতন করে। পরে নেছারের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম ওই বাহিনীর প্রধান ও চাঁদপুর ইউপি’র ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হেলাল দর্জির সাথে কথা বলে দাবীকৃত টাকা তার ভাই জামালকে দিলে জিম্মি তিন কৃষককে তারা ছেড়ে দেয়।
এরপর তারা কৃষক নেছারকে নদীর তীর থেকে মুমূর্ষূ অবস্থায় উদ্বার করে তজুমদ্দিনে এনে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে। এ ঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, উপজেলা ওলামালীগের নেতা মাও. আব্দুল মতিন গত সপ্তাহে চর মোজাম্মেলে ধান আনতে গেলেও হেলাল বাহিনীর হাতে চাঁদাবাজী ও নির্যাতনের শিকার হন। পরে এ ঘটনায় মাও. মতিন ওই বাহিনীর প্রধান হেলাল মেম্বারসহ তার ক্যাডার বাহিনীর বিরুদ্ধে তজুমদ্দিন থানায় একটি চাঁদাবজি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা দায়ের হলেও হেলাল মেম্বারসহ তার বাহিনীর সদস্যরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও কাউকেই পুলিশ আটক করছেনা।
‘বিএনপিকে জবাব দিতে আ.লীগ মাঠে থাকবে: তোফায়েল আহমেদ’
1553 Shares Share on Facebook Share on Twitter আওয়ামী লীগ......বিস্তারিত