মোঃ জসিম জনি ॥
লালমোহনে পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা নামমাত্র দায়ীত্ব পালন করছেন। সব দায়ীত্ব একাই নিজের কাধে নিয়ে পালন করে চলেছেন এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি চেয়ারম্যান, মেম্বার, সচিব কিছুই না, তবুও তিনি পরিষদের সকল কাজের কাজী। পরিষদের রেজুলেশন লেখা, ভিজিডি, ভিজিএফ, দুস্থ, বিধবা ও পঙ্গুভাতা সব তার হাতের কাজ। এমনকি পরিষদের গোডাউনের চাবীও তার কাছে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়ার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাশেম মাষ্টার। স্ত্রী রাবেয়া বেগম শিলা পরিষদের মহিলা মেম্বার। এ সুবাধে তিনি পরিষদের হর্তাকর্তা। পরিষদের রেজুলেশনও তিনি লিখছেন। নিজেই উঠাচ্ছেন পরিষদের দুস্থ, বিধবা, পঙ্গুভাতা এবং ভিজিডি ভিজিএফ চাল। বিতরণের সময়ও তিনি থাকেন উপস্থিত। এসবের সংশ্লিষ্ট অফিস উপজেলা মৎস্য অফিস, সমাজসেবা অফিস দাফিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। চলতি জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ৮৫০ নামের চাল নিজে উত্তোলনের পায়তারাও চালাচ্ছেন।
সচিব ইলান হোসেন জানান, পরিষদের চাবী কাশেম মাষ্টারের কাছেই থাকে। তিনি এসেই খোলেন আবার বন্ধ করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু ইউসুফ জানান, পরিষদের কাজ আমরা নিজেরাই করি। মাঝে মধ্যে কাশেম মাষ্টার একটু সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী মহিলা মেম্বার সে হিসেবে। এর বাইরে বেশি কিছু নয়।
এ ব্যাপারে কাশেম মাষ্টারের বক্তব্য নিতে মঙ্গলবার সোয়া ৩টার দিকে ফোন করা হলে তিনি স্কুলে আছেন ৪টায় আসবে বলে জানান তার স্ত্রী। বিকেল ৪টার দিকে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
‘বাজেট অধিবেশন ৫ জুন’
1996 Shares Share on Facebook Share on Twitter একাদশ জাতীয়......বিস্তারিত