অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেম্বার প্রার্থী মোতালেব মাদ্রাজি তার কর্মী ও সমর্থক আল আমিন তালুকদার নির্বাচনের প্রথম থেকে তার পক্ষে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হারুন-অর-রশিদ তার সমর্থন অর্জনের জন্য আলামিনের বসত ঘরে গিয়ে আলামিনের ঘরে গিয়ে দিনভর তাকে অবরুদ্ধ করে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন সংবাদে মোতালেব মাদ্রাজি তার দলবল নিয়ে আলামিন কে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এমন ঘটনায় আলামিনের পরিবার ও পুরো বাড়ির পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।
মোতালেব আরো জানান, তার কর্মী সমর্থক হিসেবে আলামিন প্রথম থেকেই তার নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার আলামিনের বসতঘরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হারুনুর রশিদ ও তার দলবল সহ কয়েকজন মিলে আল-আমিনকে তার নির্বাচন করার জন্য দিনভর বুঝানোর চেষ্টা করেন। এমনকি তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নির্বাচনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন রকমের ভয়-ভীতি দেখান।
এ সময় ওই বাড়িতে বসবাসকৃত বেশকিছু মহিলা কর্মী সমর্থকরা জানান, দিনভর চেষ্টা চালিয়ে আল-আমিনকে ভয়-ভীতি ও অর্থের বিনিময়ে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব দিয়ে আসছিল এমন সংবাদে মোতালেব তাকে উদ্ধার করে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হারুন অর রশিদ জানান, আল-আমিন ও আমি পরস্পর আত্মীয়-স্বজন। নির্বাচনী ওয়ার্ক করার জন্য তার ঘরে আমি প্রবেশ করেছি। তবে তাকে অর্থবিত্ত বা ভয়-ভীতি দেখিয়ে
আমি তাকে আমার দলে আনার চেষ্টা করিনি। তাকে ভালোবাসা দিয়ে জয় করার চেষ্টা করেছি।আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়।
ওই বাড়িতে বসবাসকৃত ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন তালুকদার জানান, বাড়িতে বসবাসরত বেশকিছু ভোটার ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সমিতি গঠন করেন। ওই সমিতির মাধ্যমে তারা একমত হয়ে হারুন-অর-রশিদের নির্বাচন করবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এমতাবস্তায় আলামিন ওই সমিতির নিয়ম ভঙ্গ করে মোতালেব মাদ্রাজির নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে। তাকে দিনভর বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে অর্থবিত্ত ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নয়, তবে আমাদের বাড়িতে এসে মোতালেব আল-আমিনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি। এই ঘটনার শিকার আল-আমিন উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের কারণে মুখ খুলতে রাজি হয়নি।তবে আল আমিনের স্ত্রী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।