লালমোহননিউজ২৪ডটকম।। একটি শহর, যে শহরের অধিকাংশ বাড়ির গ্যারেজে গাড়ির বদলে রয়েছে প্লেন। আর সে প্লেন চালিয়েই তারা সারছেন তাদের দৈনন্দিন কাজ। কল্পনা নয়, বাস্তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্প্রুস ক্রিক শহরের অবস্থা এটি।
শহরের অধিবাসী প্রায় পাঁচ হাজার। শহরটিতে রয়েছে ১৩০০-র মতো বাড়ি। আর তাদের জন্য ৭০০টির মতো এরোপ্লেন রয়েছে এই শহরে। শহরটিতে রয়েছে ৪০০০ ফুট লম্বা ও ৫০০ ফুট চওড়া একটি রানওয়ে, যেখানে দৌঁড় দিয়ে আকাশে উড়ে যেতে পারে বাসিন্দাদের এরোপ্লেনগুলো।
এই শহরে রয়েছে বেশ কিছু এয়ারক্লাব, এরোপ্লেন ভাড়া দেয়ার সংস্থা, ফ্লাইট ট্রেনিং শেখানোর বন্দোবস্ত ও ২৪ ঘণ্টার কড়া সিকিউরিটি ব্যবস্থাও। অনেক নামীদামি লোক বিভিন্ন সময় বসবাস করেছেন স্প্রুস ক্রিকে।
শহরের বিখ্যাত অধিবাসীদের মধ্যে একসময় ছিলেন হলিউড অভিনেতা জন ট্র্যাভোল্টা। তবে তার বোয়িং ৭০৭-এর ইঞ্জিনের গর্জন এতোটাই বেশি ছিল যে, প্রতিবেশীদের অভিযোগের কারণে তাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হয় শেষ পর্যন্ত!
শহরটির বাড়িতে বাড়িতে দেখা যাবে বিচিত্র সব এরোপ্লেন। বোয়িং তো রয়েছেই, পাশাপাশি কেসনাস, পাইপার্স, পি-৫১ মাস্টাং, ফরাসি ফগ ম্যাজিস্টার বা রাশিয়ান মিগ-১৫ এর মতো প্লেনও দেখা যাবে বাড়িগুলির লাগোয়া হ্যাঙ্গারগুলোতে।
কিন্তু কিভাবে একটি এলাকার প্রায় প্রত্যেক বাসিন্দা এরোপ্লেনের মালিক হতে পারেন? তাহলে কী এটিই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শহর? না ঠিক তা নয়। যারা ব্যক্তিগত প্লেনে যাতায়াত করার মতো বিত্তের অধিকারী, কেবল তারাই নানা সুযোগ সুবিধার কথা বিবেচনা করে থাকতে আসেন এই ছোট্ট শহর স্প্রুস ক্রিকে।
এ শহরের অধিবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই পেশাদার পাইলট। এ ছাড়াও রয়েছেন চিকিৎসক, আইনজীবী বা জমি কেনাবেচার ব্যবসায়ীও। প্রত্যেক রবিবার স্থানীয় বাসিন্দারা স্থানীয় রানওয়েটির কাছে যার যার প্লেন নিয়ে সমবেত হন। তারপর ছোট ছোট দল বেঁধে উড়ে যান নিকটবর্তী এয়ারপোর্টটিতে প্রাতঃরাশ সারতে! এই জনপ্রিয় ঐতিহ্যটি এখানকার বাসিন্দাদের কাছে ‘স্যাটারডে মর্নিং গ্যাগেল’নামেও পরিচিত।
‘সৌদি-আমিরাতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব’
1157 Shares Share on Facebook Share on Twitter মধ্যপ্রাচ্যের দুই......বিস্তারিত