নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সতর্ক থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সতর্ক থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একই সঙ্গে সতর্ক থাকতে হবে।

শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আগুন সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে এলে ক্ষমতায় যেতে পারবে না ভেবে বিএনপি সারাদেশে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, জ্বালাও-পোড়াও করতে মেতে উঠেছে। নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের পেছনে অনেকের হাত রয়েছে। তারা অনেক উপায়ে চেষ্টা করবে। তাদের কোনোভাবে এই অপচেষ্টায় সফল হতে দেওয়া যাবে না।

তিনি আরো বলেন, যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন এবং জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন, সে আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কয়েকজন দুষ্কৃতিকারীর লাফালাফি এ দেশে কোনোদিন নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচন করলে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ওদের অপকর্মের জন্য মানুষ ওদের প্রতি বিমুখ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল। এবারও বিএনপি নির্বাচন করতে চায় না। কারণ কোনো আসন পাবে কিনা তা নিয়ে নিজেরাই সন্দিহান।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজকে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসে তাদের বীভৎস চেহারা আবারও রেরিয়ে এসেছে। শুধু এবারই নয়, ২০১৩, ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচালের জন্য এবং ২০১৫ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। কিন্তু এরপরও নির্বাচন থামাতে পারেনি।

সরকার প্রধান বলেন, অতীতে বাংলাদেশের জনগণ যখন প্রতিরোধ করেছে তখনই বিএনপির ধ্বংসযজ্ঞ থেমেছে। এবারও সেই সময় এসে গেছে। এই অগ্নিসন্ত্রাসীরা যেখনেই থাকুক- তাদের প্রতিরোধ করতে হবে, খুঁজে বের করে পুলিশে দিতে হবে। জনগণকে এখন আর কারো ওপর নির্ভর করলে হবে না। যারা অগ্নিসন্ত্রাস করবে তাদের হাত পুড়িয়ে দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বহিরাগত অনেকেই বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে। এরা আসলে খুন-সন্ত্রাস ছাড়া কিছু জানে না। দেশের সব উন্নয়ন ও অর্জন এরা ধ্বংস করে দিতে চায়। এরাই দেশের সর্বনাশ ডেকে আনতে চায়।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে নানাভাবে চক্রান্ত হচ্ছে। মজুত করে রেখে দেবে কিন্তু বাজারে আনবে না। দাম বাড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে। সবকিছুর উৎপাদন বেড়েছে, তাহলে কিসের অভাব? মালামাল থাকা সত্ত্বেও বাজারে না এনে যারা জনগণের পকেট কাটার চেষ্টা করে এদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।

লালমোহননিউজ/ -এইচপি