রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই সম্মেলন ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণার দশ বছর পর সরকার ‘আমার গ্রাম-আমার শহর, সুশাসন’ ও তারুণ্যের শক্তি’- এই তিনটি উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেয়। তাতে ডিজিটাল বিপ্লবের বাস্তবায়ন আরো ‘গতিশীল’ হয়েছে।
“বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সকল ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির বাস্তবায়ন ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিতকে আরো শক্তিশালী করেছে।
“উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।”
সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বর্তমানে দেশে লাল ফিতার জটিলতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নেই। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে দুর্নীতি থাকবে না।’
আয়োজন সম্পর্কে পলক বলেন, ‘এই আয়োজন এবার আমরা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে করেছি। আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছি। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ডট ওআরজি নামে যে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে, সেটা আপনারা ঘুরে দেখতে পারবেন। সবকিছুই হবে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনটেইন করে আর ডিজিটালি কানেক্টেড থেকে।’
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, ‘অনলাইনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে এসেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো, অনলাইনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য একটা নীতিমালা তৈরি করা হোক। সার্বিক সহযোগিতা করতে বেসিস প্রস্তুত।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমত উল্লাহ, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব প্রমুখ।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সোশ্যালি ডিসটেন্সড, ডিজিটাল কানেক্টেড’। তিন দিনের এই আসর শেষ হবে ১১ ডিসেম্বর। এবারের আয়োজনে থাকছে মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স, সেমিনার, প্রদর্শনী, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড সম্মাননা, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভার্চুয়াল মুজিব কর্নার ও ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে কনসার্ট। আয়োজনে ডিজিটাল বাংলাদেশের গত ১১ বছরের অর্জন তুলে ধরা হবে।
১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এবার ১২টি ক্যাটাগরিতে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড সম্মাননা দেওয়া হবে। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ভার্চুয়াল কনসার্ট।
‘বাংলাদেশ ও ভারতকে যুক্ত করছে যে নদীসেতু’
Jasim Jany: বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সংযোগের জন্য ফেনী......বিস্তারিত