হাসান পিন্টু॥ রাত সোয়া ১২ টা। হঠাৎ মোবাইলে ০১৭৮৮৩৫৮০৫৮ এই অপরিচিত নাম্বার থেকে একটি ফোন। সাথে সাথেই ফোন রিসিভ করলাম। কারণ যেহেতু সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত তাই পরিচিত আর অপরিচিত নাম্বার বলে কথা নেই। তাও আবার রাতের বেলা।
ভাবছিলাম কেউ হয়তো বিপদে পড়ে অথবা কোনো গুরুত্বপূর্ন তথ্য জানাতে ফোন করেছেন। তাই সাথে সাথেই ফোনটি রিসিভ করে ফেললাম। তবে রিসিভ করার পর অপর প্রান্ত থেকে যে কথা শুনলাম তাতে খুব খুশি হলাম।
আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো জ্বীনের সাথে কথা বলার। তাই সেই স্বপ্নটা আজ সত্যিতে রুপান্তিত হচ্ছে। অপর প্রান্ত থেকে লম্বা এক সালাম। তার সাথে তাল মিলিয়ে সালামটাও নিলাম। তারপর থেকে:
জ্বীন: বাবা তুমি কেমন আছো?
আমি: ভালো আছি।
জ্বীন: মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের এ পৃথীবিতে কেনো পাঠিয়েছেন?
আমি: তার হুকুম পালন করার জন্য। তবে আপনি কে বলছেন? জেনেও জিজ্ঞাস করা!
জ্বীন: মহান আল্লাহপাক রব্বুল আল-আমিন আমাদের সকলকেই কোনো না কোনো উচিলায় ভাগ্য ফিরিয়ে দেন। তাই আমি আল্লাহর দরবার থেকে জ্বীন বলছি।
আমি: মজা নিয়ে, জ্বী হুজুর বলেন। তাহলে তো আমার মনে হচ্ছে আজ থেকে ভাগ্যর কিছু পরিবর্তন হবে।
জ্বীন: হ্যাঁ বাবা! যারা পৃথীবিতে ভালো কাজ করে তার সাথেই একমাত্র জ্বীনরা কথা বলে।
আমি: মনে মনে, ওরে বাবা! জীবনে কী এমন ভালো কাজ করলাম? আজ জ্বীনও আমাকে ভালো বলো। কিছুক্ষণ পর: জ্বী হুজুর বলেন।
জ্বীন: তুই সব সময় আল্লাহর কাজ করবি। ভালোভাবে চলবি। এবং আল্লাহর রাস্তায় দান করবি।
আমি: বুঝেও বলছি, হুজুর আমি এখন কি করবো?
জ্বীন: তোকে আল্লাহর রাজি-খুশির জন্য কিছু খরচ করতে হবে।
আমি: কথা আর না বাড়াতে চেয়ে বলে ফেললাম, হুজুর। ও হুজুর। এখন আর কি এগুলো চলে?
জ্বীন: কি বলছো বাবা?
আমি: হুজুর এসবের ফাঁদে পাবলিক এখন পড়ে?
জ্বীন: শেষ কথা, আরে বেটা, পড়ে-পড়ে বলে সংযোগটি কেটে দিলেন জ্বীন হুজুর!
আসলে আমরা সবাই জানি জ্বীন রয়েছে। আমি মানি জ্বীন আছে। তবে জ্বীন যখন মোবাইলে ফোন করে তখন এই জ্বীনকে মানতে নারাজ আমি ও সচেতন মহল। তবুও অনেকেই এ ফাঁদে পা দিয়েছে। হয়েছে নিঃশ্ব। ভূক্তভোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রাম-গঞ্জে মহিলা ও পুরুষরা। সবাই সচেতন হোন। জ্বীন আছে। তবে মোবইলে ফোনে ফোন করা কোনো জ্বীন নেই।
লেখক: বার্তা প্রধান
লালমোহননিউজ টোয়ান্টিফোর ডটকম
ও
“চ্যানেল এস” টিভি প্রতিনিধি
লালমোহন, ভোলা।
‘চিকিৎসকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ানো সেই ম্যাজিস্ট্রেট বরিশালে বদলি’
লকডাউনে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে এক নারী চিকিৎসকের সঙ্গে আইডি কার্ড......বিস্তারিত