মোঃ জসিম জনি ও হাসান পিন্টু: ভোলার লালমোহনে মঙ্গলবার দুপুরে আকস্মিক ঘুর্ণিঝড়ে ৪ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিদ্ধস্ত হয়। ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকা ডুবে এক মাঝি নিহত হয়। এছাড়া স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদসহ আরো ৫০ টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে পড়ে। গাছ-পালা উপড়ে পড়ে প্রায় সহস্রাধিক। ঘর পরে ও গাছের চাপায় আহত হয় অন্তত ৫০ জন। আহতদের লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর পোনে দুইটার দিকে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় হানা দেয়। মূহুর্তে বাতাসের বেগ ও বারী বর্ষণ শুরু হয়ে চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পুরো উপজেলা অন্ধকারে ডেকে যায়। স্কুল চলাকালিন সময় এ ঝড় শুরু হলে পৌর এলাকার মধ্যে লালমোহন কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মায়ানগর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আব্দুল ওহাব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্ব মহেশখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব রমাগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনের ঘর ভেঙ্গে পড়ে ও ওয়াল সেড ভবনের টিনের চালা উড়ে বিদ্ধস্ত হয়। এসময় কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ, যুগল চন্দ্র শীল, মঈনুল ইসলাম, মাহাদী, মিতা মজুমদার, ইমরান, মারুপ, নাঈমুল, কমল কৃষ্ণ, পারভেজ ও মায়ানগর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র শান্ত, হৃদয়, রিয়াজ, শুভ আহত হয়। লালমোহন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ইমা হক, চরভূতা ১নং ওয়ার্ডেও মাসুদ (৪৫), নয়ানীগ্রামের তাজু আহত হয়।
এছাড়া করিম রোড এলাকার মরিয়ম বেগম নয়নের ঘর, ৮নং ওয়ার্ডেও প্রতিবন্ধী ফারুক, মোঃ আলমগীর, খালপাড়ের হারিছ আহমেদসহ পৌর এলাকা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অন্তত ৩০০ ঘর বিদ্ধস্ত হয় বলে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানান। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের জন্য এমপি মহোদয়ের সুপারিশে তালিকা করে প্রত্যেকের জন্য ২ বান্ডিল ডেউ টিন, ২০ কেজি চাল ও নগদ ৬ হাজার টাকা বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি জানান, ক্ষতিগ্রস্থ তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত পূর্ণ বিদ্ধস্ত ঘরের সংখ্যঅ ১৫০ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের সংখ্যা ২৫০ পাওয়া গেছে। এছাড়া স্বরুপকাঠি থেকে পাঠকাঠি নিয়ে আসা একটি নৌকা ফরাজগঞ্জের কাছে তেঁতুলিয়া নদীতে নৌকা ডুবে মাঝি আব্দুস শুকুর নিহত হয়। তার বাড়ি যশোর।
‘সৌদি-আমিরাতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব’
1157 Shares Share on Facebook Share on Twitter মধ্যপ্রাচ্যের দুই......বিস্তারিত