মোঃ জসিম জনি || লালমোহনের বিচ্ছিন্ন চর কচুয়াখালীতে এগারো বছরের এক শিশুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিওয়ার তিন দিন পর বুধবার দুপুরে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার দুপুরে মাছ ধরার কথা বলে পাশ্ববর্তী ঘরের মোশারেফ নামে এক যুবক সাথী নামের ওই শিশু কন্যাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান পায়নি বাবা-মা। বুধবার দুপুরে চরের কেওড়া বাগানে ওই শিশুর লাশ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ শাখাওয়াত হোসেন।
এর আগে মঙ্গলবার অভিযোগ পেয়ে লালমোহন সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এসএম রফিকুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ শাখাওয়াত হোসেন শিশুকে উদ্ধার করতে দিনভর চরে অনুসন্ধান চালায়। পুলিশ ও গ্রামবাসী মিলে খুঁজলেও চরের কোথাও সাথীকে পায়নি। তবে মোশারফকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সে এ ঘটনায় মুখ খুলেনি বলে পুলিশ জানায়।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, লালমোহন পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের অন্তর্গত তেঁতুলিয়া নদীর বুকে বিচ্ছিন্ন চরকচুয়াখালী আবাসনে বসবাস করা কৃষক আমির হোসেন ও মোর্শেদা বেগমের ১১ বছরের শিশু কন্যা সাথীকে সোমবার দুপুরে পাশর্^বর্তী ঘরের মোশারেফ হোসেন (৩২) মাছ ধরার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পায়নি বাবা-মা। তারা সাথীকে মোশারফ ডেকে নিয়েছে বলে দাবী করে। স্থানীয় একাধিক লোকজন মোশারফের সাথে সাথীকে দেখেছে বলেও পুলিশকে জানায়। মোশারফ চরের কেওড়া বাগানে নিয়ে মোবাইলে ছবিও দেখায় বলে চরের লোকজন পুলিশকে জানায়।
লালমোহন সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এসএম মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার চরে গিয়ে দিনব্যাপী বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। নিখোঁজ সাথীর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। সাথীর মা মোর্শেদা বেগম বাদী হয়ে অপহরণ মামলা করছে। আজ (বুধবার) সাথীর লাশ পাওয়া গিয়েছে। কিভাবে সাথীর মৃত্যু হয়েছে তা চরে গিয়ে লাশ উদ্ধারের পর জানা যাবে। বিকেলে পুলিশ চরে যাবে বলে তিনি জানান। মোশারফকে আটক করা হলেও সে মুখ খুলছে না। তাকে রিমান্ডে আনলে আসল রহস্য বের হবে।
‘অনলাইনে বন্ধুদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার ৩৬ শতাংশ মেয়েশিশু’
Jasim Jany: অনলাইনে বন্ধুদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে ৩৬ শতাংশের বেশি......বিস্তারিত