মনিরুজ্জামান, বোরহানউদ্দিন (ভোলা) সংবাদদাতা :
সজিব। ১০কিংবা ১১ বছরের শিশু। ওর বয়সিরা বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে।আনন্দ-উল্লাসে মাঠ কিংবা পাড়া মাতাচ্ছে । অন্যদিকে নিয়তির লেখা ভাগ্যে সজিব স্কুলের পরিবর্তে রিকসার প্যাডেলে ঘুরাচ্ছে। সকালে মা-বাবার পরম মমতায় যখন সকল শিশু পেট পুড়ে খেয়ে স্কুলে যাচ্ছে।আর ও যাচ্ছে বাবার ঔষধ আর দুমুটো খাবার যোগার করার তাগিদে রিকসা নিয়ে। অভাবের তাড়নায় আজ ও ভাগ্য বিড়ন্বিত এক শিশু।জীবন যুদ্ধে ট্রেনিং বিহীন এক যোদ্ধা।
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, জাতি এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এগোচ্ছে না অবহেলিত আর অসহায় শিশু-কিশোরদের ভাগ্যে। যে সব শিশুরা হবে স্কুল-কলেজ মুখী, তা না করে তারা হাতে নিয়েছে জীবিকা নির্বাহের কঠিন দায়িত্ব। বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ৩নং ওয়াডস্ত ছোট মানিকা গ্রামের আবু তাহের এর ছেলে সজিব।বড় ভাই আরিফ অভাব নামক চুম্বকিয় শক্তির টানে অনেক আগেই ঢাকায় চলে যান। শ্রমিকের কাজ করেন তিনি। বাবা , ভাইর অর্জিত আয়ে সংসার চলছে। সজিব জানায়,এক সময় ওই এলাকার দাই বাড়ীতে তাদের বসবাস ছিল।রাক্ষুসে তেতুলিয়ার উম্মদনায় হারায় তারা বসতভিটা । বাবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে আশ্রয় নেয় কুতুবা ইউনিয়নের যুগলার দিঘির পাড়। শ্রমিক বাবার অর্জনে মোটামুটি চলছিল সংসার। সুখ ও ছিল সংসারে।হঠাৎ নিয়তি নির্মম হয়ে উঠেন তাদের প্রতি। নিয়তির বৈরী আচরণে একদিন কাজ করতে গিয়ে চালা থেকে পড়ে কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করানো যায়নি।৪/৫ বছর ধরে বাবা পঙ্গু। সেই থেকে অভাব তাদের নিত্য দিনের মেহমান।সজিব জানায়, দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর অভাবের তাড়নায় আর পড়া হয়নি।শুরু করি রিকসা চালনা। দৈনিক মালিককে ২৫০টাকা জমা দিতে হয়। তার আয় হয় ২-৩শত টাকা।বড় ভাই ঢাকা থেকে মাসে৩-৪ হাজার টাকা পাঠান। এ দিয়ে বাবার ঔষধ কেনা সহ সংসার চলছে। পড়তে মন চায় কিনা এমন প্রশ্নে জানায়, ৩বেলা ভাই খাইতেই কষ্ট।তাই মন চাইলেও পড়ার উপায় নাই।
‘বিএনপিকে জবাব দিতে আ.লীগ মাঠে থাকবে: তোফায়েল আহমেদ’
1553 Shares Share on Facebook Share on Twitter আওয়ামী লীগ......বিস্তারিত