ভোলা প্রতিবেদকঃ মাছের অভয়াশ্রম সৃষ্টির লক্ষ্যে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে দুই মাসের জন্য মাছ শিকার বন্ধ ঘোষণা করেছে মৎস্য বিভাগ। মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোলার লক্ষাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়েছে। বিকল্প কোনো কর্মসংস্থান না থাকায় পরিবারের আয়ের জোগান কীভাবে হবে- তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে তারা।
তা ছাড়া জেলেদের জন্য বরাদ্দ চাল তাদের ভাগ্যে জুটবে কিনা- তাও জানা নেই। কারণ এক লাখ ৩২ হাজার ২৬০ জন নিবন্ধিত জেলে থাকলেও মাত্র ৫১ হাজার ২৫০ জন জেলে পরিবারের জন্য বরাদ্দ এসেছে। ফলে বিভিন্ন এনজিও থেকে দায়দেনা নিয়ে অসহায় জেলেদের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
দ্বীপজেলা ভোলা ছোট বড় শতাধিক মৎস্য ঘাটে কিছুদিন আগেও জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের হাকডাকে জমজমাট ছিল নদীর পাড়ের ঘাটগুলো। সারাদিন নদীতে জাল নৌকা নিয়ে ব্যস্ততা ছিল জেলেদের। কিন্তু প্রতিবছরের ন্যায় ভোলা সদরের ইলিশা মেঘনা থেকে চরপিয়াল ও তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালির চর রুস্তম পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার এলাকাকে মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছ ও জাল ফেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ।
বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় মাছধরা বন্ধ থাকায় বেকার জেলে পরিবারে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। কীভাবে পরিবার-পরিজনের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হবে- সে চিন্তায় দিশেহারা এখন জেলেরা।
জেলেরা বলছে, তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নদী থেকে উঠে গেছে। কিন্তু তারা চায় সরকারি সহায়তা ও দ্রুত যাতে জেলে পুনর্বাসনের চাল পায়। এ ছাড়া তারা এনজিও’র কাছ থেকে বহু টাকা ঋণ নিয়েছে। তাই এই দুই মাস এনজিও’র কিস্তির টাকা বন্ধ রাখারও দাবি জানান।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, দুই মাস যাতে জেলেরা নদীতে মাছ না ধরে সে বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ভোলা জেলায় এক লাখ ৩২ হাজার ২৬০ জন নিবন্ধিত জেলে থাকলেও ৫১ হাজার ২৫০ জন জেলের জন্য চাল বরাদ্দ এসেছে। ইতিমধ্যে সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
হাসান পিন্টু
‘পদ্মা সেতুর নামে বিদেশী ছবি প্রচার হচ্ছে কেন?’
1889 Shares Share on Facebook Share on Twitter পদ্মা সেতু......বিস্তারিত