ভোলার সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী জানান, ভোলার ৬ উপজেলায় এ পর্যন্ত ইতালি, ওমান, আবুধাবি, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, কুয়েত, সৌদি আরব, দুবাই ও ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এদের মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৫ জন, দৌলতখানে ১২, বোরহানউদ্দিনে ১৭ জন, তজুমদ্দিনে ৭ জন ও চরফ্যাশন উপজেলায় ১ জন রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ৪২ জনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তাদের প্রত্যেককে আগামী ১৪ দিন বাড়ি থেকে বের না হতে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ এ নির্দেশ না মানলে তাকে জেল জরিমানা করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, করোনা মোকাবেলায় সদর হাসপাতালে ২০ শয্যার আলাদা আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও একই ভাবে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় ৯টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যেখান থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সকল তথ্য আদান-প্রদান করা হবে। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে হটলাইন (০১৭১১-১৬৯২৬৫) চালু করা হয়েছে।
এ সময় তিনি জানান, যে সকল রোগী জ্বর, সর্দি, গলা ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালের দ্বারস্থ হবেন, তাদেরকে আলাদা স্ক্যানিং করার জন্য হাসপাতালে করোনা স্ক্যানিং সেন্টার খেলা হয়েছে। সেখানে সার্বক্ষণিক একজন ডাক্তার নিয়োজিত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।